শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শুক্রবার বসছে না পদ্মাসেতুর ত্রয়োদশ স্প্যান ‘৩বি’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:১০ পিএম, ২৪ মে ২০১৯ শুক্রবার

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পদ্মাসেতুর ত্রয়োদশ স্প্যান ‘৩বি’ সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর শুক্রবার (২৪ মে) বসছে না। শনিবার (২৫ মে) সকাল থেকে আবার শুরু হবে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম।

 

শুক্রবার (২৪ মে) সকাল থেকেই পদ্মার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ভাসমান ক্রেনে স্প্যান নিয়ে রওনা দেওয়া নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। 

আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে স্প্যান পিলারের ওপর বসানো নিয়ে প্রকৌশলীদের বাড়তি ভাবনার যোগ হয়। সকাল ৮টা স্প্যান রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও আবহাওয়াজনিত কারণে ২ ঘণ্টা পর রওনা দেয়। এরপর স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি পৌঁছায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে।

প্রকৌশল সূত্র জানান, স্প্যান নির্ধারিত পিলারের কাছে আসতে বেশি সময় লেগে যায়। এরপর যেই সময় আছে তার মধ্যে স্প্যান বসিয়ে দিয়ে আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই পরদিন (শনিবার) সকাল থেকে আবার স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে।



জানা যায়, বর্তমানে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে নোঙর করে রাখা হয়েছে। বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে আসে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে সেতুর এক হাজার ৯৫০ মিটার।

পুরো সেতুতে দুই হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে দুই হাজার ৯৫৯টি। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩টি স্প্যানের মধ্যে ১২টি স্প্যান বসানো হয়েছে। 

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।