শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘শিল্পীদের পারিশ্রমিকের রাস্তা প্ল্যান করে বন্ধ করা হয়েছে’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৩৫ এএম, ২৬ মে ২০১৯ রোববার

চরম আর্থিক সংকটের মুখে টেলি পাড়ার শিল্পী এবং কলাকুশলীদের একটা বড় অংশ। দীর্ঘদিন কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মুষ্টিমেয় প্রযোজকের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে অন্যতম দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার কর্ণধার রাণা সরকার। 

শনিবার আর্টিস্ট ফোরামের ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য সদস্য। বিভিন্ন চ্যানেলে এই মুহূর্তে দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার চারটি ধারাবাহিক চলছে। ‘জয় বাবা লোকনাথ’, ‘আমি সিরাজের বেগম’, ‘খনার বচন’ এবং ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’। এই সংস্থারই ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ শেষ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। অন্য চারটি প্রযোজনা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলি গত ১৬ মার্চ থেকে হাতবদল করে অন্য প্রযোজকদের দিয়ে দিলেও অভিনেতা এবং কলাকুশলীদের বড় অংশের পারিশ্রমিক এখনো বাকি বলে দাবি করছে আর্টিস্ট ফোরাম। 

তাদের অভিযোগ, রাণা সরকারের সংস্থা অতীতেও পারিশ্রমিক দিতে নিয়মিতভাবে দেরি করেছে। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল, অন্যান্য প্রযোজক, ফেডারেশন, জে সি সি-সহ সকলেই জানা। তারা বারবার এ বিষয়ে চ্যানেলকে জানালেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।

 

এ বিষয়ে শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকে আর্টিস্ট ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি প্রসেনজিৎ বলেন, শিল্পীদের টাকা পাওয়ার রাস্তা প্ল্যান করে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সে কারণেই আজ এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি। কেস হিস্ট্রি বলছে এরকম ঘটনা এর আগে ইন্ডাস্ট্রিতে হয়নি। আর্টিস্ট ফোরামে অনেকদিন ধরে আছি। গেমপ্ল্যান করে টাকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা আর্টিস্টদের বাকি। আমাদের পথগুলো সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আর্টিস্ট ফোরামের দাবি, হাতবদলের সময় সংশ্লিষ্ট সব চ্যানেল প্রতিশ্রুতি দেয়, সদস্যদের বকেয়া টাকা তাদের কাছে সুরক্ষিত রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেই টাকা মিটিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু কোনো চ্যানেল বা দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার তরফে বকেয়া টাকা মেটানোর কোরন্ প্রয়াস দেখা যায়নি।

প্রসেনজিতের কথায়, আজ যদি কোন প্রযোজক চলে যান, ইন্ডাস্ট্রি ছেড়েও চলে যেতে পারেন, নানা রকম কারণে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে, দিনশেষে কার কাছে গিয়ে পারিশ্রমিক চাইব, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। চ্যানেল লিখিতভাবে জানিয়েছে, তাদের কাছে টাকা আছে। কিন্তু আড়াই মাস ধরে টাকাটা বেরচ্ছে না। সেখানে অনেক টেকনিক্যাল কারণ তারা দেখাচ্ছে। প্রযোজকের এনওসি লাগবে বলছে। এবার সেই ভদ্রলোক যদি ছ’মাস ফিজিক্যালি না আসেন, তা হলে আমরা কী করব? এই ছ’মাসে ওই মানুষগুলো তো প্রায় আত্মঘাতী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

এর আগে ২০১৮ সারে টেলি পাড়ার অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়। আর্টিস্ট ফোরাম সে সময়ও সমস্যা সমাধানে অগ্রসর হয়েছিল। চলতি আর্থিক সংকটের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে বড় আন্দোলনের পথে যেতে পারে আর্টিস্ট ফোরাম।