শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানি’দের খবর কী?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ২৬ মে ২০১৯ রোববার

বলিউডের কয়েকজন নায়ক বা নায়িকা ছাড়া বাকি সব তারকাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, একসঙ্গে একগুচ্ছ নায়ক-নায়িকা সম্মিলিতভাবে পুরো সিনেমাটিকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত একজন সুপারস্টার দিয়ে একটি সিনেমা পুরোপুরি শেষ করা যায়, কিন্তু একজন প্রথম বা দ্বিতীয় সারির নায়ক-নায়িকা দিয়ে একজন প্রযোজক সিনেমা শেষ করার সাহস পান না। তার একটি কারণও রয়েছে- একজন প্রযোজক একটি সিনেমায় কোটি কোটি রুপি অর্থ লগ্নি করেন, তাই তিনি একেবারে রিস্ক নিতে রাজি নন যে, একটি সিনেমা ‘সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানি’ দিয়ে শেষ করবেন!

সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানি? 
সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানি মূলত এই কারণে বলা, হয়ত আপনারা দেখেছেন, যখন কোনো প্রথম লিডের নায়ক ও দ্বিতীয় লিডের নায়ক একসঙ্গে পর্দায় হাজির হয়, তখন প্রথম ওই সিনেমার নায়িকার সঙ্গে দ্বিতীয় লিডের নায়কের সঙ্গে প্রেম হয় পরে ছবি শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে প্রথম লিডের নায়কের সঙ্গে তার বিয়ে অথবা মিলন দেখায়। তাই আমার আজকের লেখা এই দ্বিতীয় সারির অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানিদের নিয়ে, যারা কে কী করছেন?   

বলিউড নায়ক-নায়িকারা যেই লিডের হোক না কেন, তাদের সুদর্শন ও সুঠাম দেহের অধিকারী হতে হয়। এমন না যে, প্রথম লিডের নায়কই শুধু দেখতে, চলতে ভালো হবে। বলিউডের নায়কদের ব্যাপারে এ কথাটা চোখ কান বুজে বলে দেয়া যায়। তবে, এখানে প্রতিভা থাকার পরও জনপ্রিয়তার বিচারে সবাই একই সারিতে থাকেন না। যাদের কথা বলছি, তাদের কারোই খান, কুমার, দেবগন কিংবা কাপুরদের মতো জনপ্রিয়তা নেই। তবে, ভবিষ্যতের সুপার স্টার হওয়ার যোগ্যতা আছে নিশ্চয়। তাই আজ পাঠকদের জানাবো তাদের অভিনীত সিনেমা ও কী করছেন তারা।

আয়ুষ্মান খোড়ানা

আয়ুষ্মান খোড়ানা। এই সময়ে এসে বেশ ভালো ভালো চরিত্রে রূপদান করছেন এই নায়ক। তাকে বলা হয় একালের আমুল পালেকার। একসময় ভারতীয় মধ্যবিত্তের পোস্টার বয় ছিলেন তিনি। প্রচলিত নাচগান কিংবা অ্যাকশন নির্ভর সিনেমায় না দেখা গেলেও তিনি সামাজিক-পারিবারিক সিনেমার প্রিয় মুখ। তার ‘নটাঙ্কি সালা’, ‘ভিকি ডোনার’, ‘বেরিলি কি বারফি’, ‘শুভ মঙ্গল সাবধান’, ‘হাওয়াইজাদে’ ও ‘বাঁধাই হো’ সিনেমাগুলো দিয়ে তিনি বলিউডে স্থায়ীভাবে আসন গড়েছেন।

আদিত্য রয় কাপুর

আদিত্য রয় কাপুরকে হয়ত সবাই চেনেন। এখনো বলিউডের সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানিই রয়ে গেছেন তিনি। তবে তার ক্যারিয়ারে ‘আশিকি ২’র মতো ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা আছে। এছাড়া ‘ওকে জানু’, ‘অ্যাকশন রিপ্লে’, ‘দাওয়াত-ই-ইশক’, ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘ফিতুর’ ও ‘ডিয়ার জিন্দেগি’র মত সিনেমা করেছেন তিনি। আদিত্য হলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রঘুপাত রয় কাপুরের নাতি। বড় ভাই সিদ্ধার্থ রয় কাপুর ইউটিভি মোশন পিকচার্সের প্রধান নির্বাহী, একই সঙ্গে তিনি বিদ্যা বালনের স্বামী। সে হিসেবে মিডিয়ায় ভালো পরিচিতি রয়েছে তার। এখন দেখা যাক, ভবিষ্যতে কত দূর এগোতে পারেন এই নায়ক!

অভয় দেওল

অভয় দেওলও সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানি রূপে কম সিনেমা করেননি। তবে তার আরেকটি পরিচয় আছে, তিনি হচ্ছেন দেওল পরিবারের ছেলে, এক কালের কিংবদন্তি নায়ক ধর্মেন্দ্রর ভাতিজা। এত কিছুর পরও অ্যাকশন সিনেমাতে বিশেষ আগ্রহ নেই অভয়ের। বরং অভিষেক সিনেমা ‘সোচা না থা’, ‘এক চল্লিস না লাস্ট লোকাল, ‘আইশা’, ‘ডেভ ডি’, ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’র মতো কনটেন্ট নির্ভর সিনেমাতে বেশি মন দিয়েছেন তিনি। প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। শাহরুখ খানের সিনেমা ‘জিরো’-তেও দেখা মিলেছে তার।

আলী ফজল

আলী ফজল। বলিউডের সুদর্শন এই তারকা, দেখতে চলতে কোনো অংশে কম নন তিনি। তিনি বলিউডের বহুজাতিক একজন তারকা। বলিউডের পাশাপাশি তিনি কাজ করেছেন হলিউডেও। ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘ফুকরে’, ‘ববি জাসুস’ সিনেমাগুলো দিয়ে তিনি যেমন ভারতীয় দর্শকদের মনে জায়গা পেয়েছেন, তেমনি ‘ফিউরিয়াস সেভেন’ করে হলিউডে প্রশংসিত হয়েছেন। হলিউডের আরেক সিনেমা ‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আব্দুল’ দিয়ে তিনি আরেক ধাপ ওপরে ওঠার অপেক্ষায় আছেন। তবে ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি।

রণদীপ হুদা

রণদীপ হুডা। অভিনয়ে ভালো সুখ্যাতি রয়েছে তার। আজ অবধি এই তারকা যে ক’টা সিনেমা করেছেন, তার প্রতিটিতেই ভিন্ন ধরনের কিছু একটা করার চেষ্টা করেছেন রণদীপ। এর আগে তিনি ‘হাইওয়ে’ সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন। তার করা বাকি সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘লাল রং’, ‘কিক’, ‘জান্নাত ২’ কিংবা ‘ডি’র কথা আলাদা করে বলতে হয়। সবগুলো ছবিতে অন্য রূপে হাজির হয়েছেন এই অভিনেতা।