শবে কদরের বিশেষ আমল, ফজিলত ও মর্যাদা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ২৮ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
পবিত্র রমজানের শেষ দশকের একটি রাত লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। যে রাতের মর্যাদা ঘোষণায় বলা হয়েছে যে, হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
এ রাতে পবিত্র মক্কা মুকাররমার জাবালে নুর বা আলোক পর্বতে হেরা গুহায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে ফেরেশতাদের সরদার হজরত জিবরাইল (আ.) এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল–কোরআন অবতীর্ণ হয়।
কোরআন অবতরণ এবং শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনুল কারিমে ‘সূরা কদর’ নামে একটি সূরা নাজিল করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন,
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি কদর (মর্যাদাপূর্ণ) রজনীতে। আপনি কী জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ হজরত জিবরাইল (আ.) সমভিব্যাহারে অবতরণ করেন; তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ ও অনুমতিক্রমে, সব বিষয়ে শান্তির বার্তা নিয়ে। এই শান্তির ধারা চলতে থাকে উষার উদয় পর্যন্ত।’ (সূরা-৯৭ কদর, আয়াত: ১-৫)।
যে কেউ এ রাতে একটি আমল করবে তা হাজার মাসের আমল হিসেবে পরিগণিত হবে।
এ কারণেই বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে অতিবাহিত করতেন। যাতে কোনোভাবে শবে কদর থেকে বঞ্চিত হতে না হয়।
শবে কদরে কোন দোয়াটি বেশি বেশি পড়বেন? এ বিষয়ে বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) কী বলেছেন? হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলে দিন, আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলবে-
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালো বাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত, রমজানের শেষ দশকে এ দোয়া বেশি বেশি পড়া।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে গুনাহ মাফ ও সফলতা লাভে প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো শবে কদরের এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।