বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৯ ১৪৩১   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সালমানে এত সমস্যা কেন এই নায়িকাদের?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৪০ এএম, ৩১ মে ২০১৯ শুক্রবার

সালমান খান। বলিউডে হিট মেশিন বলা হয় তাকে। কারণ, তিনি যে কোনো ছবিতে আবর্তিত হলে, সে ছবি হিট হয়ে ছাড়ে। এছাড়া তার কোনো ফ্লপ ছবির আয়ও অন্যান্য নায়কদের হিট ছবির আয়কে ছাড়িয়ে যায়। ফলে বলিউডের যে কোনো পরিচালক- প্রযোজক থেকে শুরু করে নায়ক নায়িকারা এক কথায় তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়ে যায়। সালমান খানের বিপরীতে কাজ করার অর্থই হলো সাফল্যের নিশ্চয়তা। 

কে চায় না সে নিশ্চয়তায় নিজেকে সাফল্যমণ্ডিত করতে। কে চায় না, মিডিয়াতে ভালো কোনো ছবিতে অভিনয় করে সবার নজর কাড়তে। হুম, সালমান ঠিক তেমনই একজন নায়ক, যে নায়কের নায়িকা হয়ে বহু অভিনেত্রীরা বলিউড দখল করেছেন। সালমানের কাজের ধরণ ও জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে কোনো নায়িকাই তার বিপরীতে কাজ করতে দু’বার ভাবেন না। তবে, এর ব্যতিক্রমও আছেন অনেকে। বলি পাড়ার এমন অনেক নায়িকার খবর পাওয়া গেছে, যারা সালমান শুনে পিছনে হেঁটেছেন।

ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য থাকছে আজ এমনই কিছু নায়িকাদের খবর, যারা বলিউডের ভাইজানের কথা শুনে আর সামনের দিকে আগাননি। বরং মুখের উপর ‘না’ করেছেন। চলুন দেখা যাক, এমন নায়িকারা কারা-

ঐশ্বরিয়া রায়

বলিউড নায়িকা ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সালমানের প্রেম ছিল, সেটা সবাই জানেন। তবে প্রেমে পড়ার আগে, এই যুগল সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয়ও করেছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে এই জুটির একমাত্র সিনেমা সঞ্জয় লীলা বনসালীর ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’। যেটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে।  সেই ছবিতে দর্শকরা খুবই উচ্ছ্বাসের সঙ্গে এই নতুন জুটিকে গ্রহণ করেছিলেন। 

এরপর সালমান আর ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। তাদের ভাঙন মূলত বলিউডের ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা করে। এরপর থেকে কেউ কারো চেহারায় দেখতে চাননি। যদিও ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া অভিষেক-অ্যাশের সিনেমা ‘ধাই আকশার প্রেম কি’ সিনেমায় ছোট্ট একটা অতিথি চরিত্রে ছিলেন সালমান। তবে এরপর আর কখনো এক হননি এই যুগল।

সোনালী বেন্দ্রে

বলিউডের আরেক সুন্দরী নায়িকা সোনালী বেন্দ্রে। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া পারিবারিক গল্পের সিনেমা ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-তে এই জুটির রসায়ন দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু, এই সিনেমার শ্যুটিং চলাকালেই কালো হরিণ শিকার করে বিতর্কে জড়ান সালমান। তার জের ধরে এরপরের ছবিতে সাল্লুর বিপরীতে কাজ করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন সোনালী। তবে এর ফলে সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়নি এই নায়িকার।

উর্মিলা মাতন্ডকর

ঊর্মিলা সালমানের সঙ্গে জুটিবেঁধে অভিনয় করেছিলেন কিন্তু সে ছবি বক্স অফিসে সাড়া জাগাতে পারেনি। তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ‘জানাম সামঝা কারো’ সিনেমাটিতে। পরে এই ছবি ফ্লপ হওয়াই, ঊর্মিলার তার ছিঁড়ে যায়, মূলত এই কারণে আর সালমানের সঙ্গে এক হননি ঊর্মিলা। 

আমিশা প্যাটেল

আমিশা প্যাটেল। একসময় সালমানের অভিনীত ছবির নায়িকা হয়েছেন তিনি। তবে ওইসময় সাল্লুর ক্যারিয়ার তেমন জ্বলজ্বল করছিল না। তাই হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আমিশা। এরপর তার সঙ্গে এক হয়ে ‘কাহো না পিয়ার হে’র মতো হিট ছবি উপহার দেন তারা। অপরদিকে সালমানের সঙ্গে ছবি ফ্লপ হওয়াই আমিশা-হৃত্বিকের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। যেটি তার জীবনের বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আর এই কারণে হয়ত এখন খারাপ সময় যাচ্ছে আমিশার।

জুহি চাওলা

বলিউডের লাস্যময়ী নায়িকা জুহি চাওলা। তিনি কখনো সালমানকে তার বিপরীতে চাননি। এই জুটি ১৯৯৭ সালে ‘দিওয়ানা মাস্তানা’ সিনেমায় হাজির হয়েছিলেন তাও অতিথি চরিত্রে। সেবারই প্রথম ও শেষবারের মতো পর্দায় সালমান-জুহিকে এক সঙ্গে দেখা যায়। তবে কেন তারা এক হননি তার কোনো উত্তর এখনো মিলেনি। যদিও ১৯৯২ সালে এক এক সাক্ষাৎকারে সালমান বলেছিলেন যে, একবার তিনি জুহি চাওলাকে রীতিমত বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কে জানে, এটাই হয়তো সালমান ও জুহির মধ্যে দূরত্বের কারণ! তবে সেটিও অনেকটা মজা করে সালমান বলেছিলেন। তবে এখনো এর সত্যতা মেলেনি।

টুইঙ্কেল খান্না

টুইঙ্কেল খান্না একসময় বলিউডের নিয়মিত নায়িকা ছিলেন। একের পর এক বহু ছবি করেছেন। তবে নায়ক সালমানের সঙ্গে খুব কম ছবিতে দেখা গেছে তাদের। তবে সালমানে বিপরীতে তিনি ১৯৯৮ সালে‘জাব প্যায়ার কিসি সে হোতা হ্যায়’ সিনেমাটি করেন। ভালো ব্যবসা করার পর এই জুটিকে নিয়ে আরো সিনেমা বানানোর পরিকল্পনাও করেন প্রযোজক-পরিচালকরা। কিন্তু, সব প্রস্তাবকেই টুইঙ্কেল খান্না না করে দেন। এর কারণটিও এখনো অজানা। যদিও বা পরবর্তীতে ‘চাল মেরে ভাই’ সিনেমায় একটা ক্যামিও রোল করেন টুইঙ্কেল।