আইটি সেক্টরে দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে ইউএসটিসি ও পিপল এন টেক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৩৮ এএম, ৩১ মে ২০১৯ শুক্রবার

‘দক্ষ হলেই জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার পথ সুগম হয়’ স্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রে আইটি সেক্টরের উপযোগী কোর্স প্রদানে খ্যাতি অর্জনকারি ‘পিপল এন টেক’র সাথে চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলাজি’র (ইউএসটিসি) মধ্যে শিক্ষা-বিনিময়ের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
এই চুক্তি অনুযায়ী ইউএসটিসির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা আইটি সেক্টরে চাকরির উপযোগী বিশেষ কারিকুলাম সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন। যার ফলে তারা আইটি সেক্টরের যে কোন প্রতিষ্ঠানে মিড-লেভেলের চাকরির জন্যে যোগ্য বিবেচিত হবেন।
এই কারিকুলাম পিপল এন টেকের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের আইটি ইন্সটিটিউট ‘পিপল এন টেক’র সাথে একই ধরনের চুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে ইউ ল্যাবসহ বাংলাদেশের আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন আইটি কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের চাকরির পথ সুগম হবে বলে ‘পিপল এন টেক’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ চুক্তি স্বাক্ষরের পর উপস্থিত সকলকে জানান।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির লং আইল্যান্ডে ‘পিপল এন টেক’র ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ইউএসটিসির সিন্ডিকেট মেম্বার এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন জানান, তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠার বিকল্প নেই। আর এ কারিকুলাম যথাযথভাবে রপ্ত করা হলে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে চাকরির যোগ্য হবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ইউএসটিসি সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে চায়। ড. শাহাদৎ উল্লেখ করেন যে, জাতীয় অধ্যাপক ড. নূরল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত ইউএসটিসি হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ইউনিভার্সিটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিসম্পন্ন পিপল এন টেক’র সাথেও সর্বপ্রথম এ ধরনের একটি সময়োপযোগী কারিকুলামের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হলো।
ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার গ্রীনরোডে আমাদের ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সম্প্রসারণের পাশাপাশি ধানমন্ডিতেও নতুন ক্যাম্পাস করা হচ্ছে। আর এভাবেই পিপল এন টেকের সার্ভিস উদ্যমী বাংলাদেশীরাও নিতে সক্ষম হচ্ছেন।’
ভার্জিনিয়া, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, নিউইয়র্ক ছাড়াও পিপল এন টেক’র ক্যাম্পাস রয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশে। প্রতিমাসেই বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নির্দিষ্ট একটি কোর্স সম্পন্নের পর মার্কিন আইটি সেক্টরে উচ্চ বেতনের চাকরি পাচ্ছে। বাংলাদেশীদের পাশাপাশি ভিয়েতনামিজ, চীনা, ভারতীয়, পাকিস্তানিরাও কোর্স নিচ্ছে নিয়মিতভাবে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের নামে একটি বৃত্তি ঘোষণা করেছে পিপল এন টেক। শতাধিক নারী-পুরুষ সেই বৃত্তি পাবেন অর্থাৎ ৪ হাজার ডলারের কোর্স তারা বিনামূল্যে গ্রহণে সক্ষম হবেন। এছাড়া, আমেরিকায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্যেও স্থায়ী একটি বৃত্তি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এই সংস্থা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হলেও গত দেড় দশকে এ ধরনের অসংখ্য সেবামূলক কর্মকান্ড সম্পন্ন করেছে পিপল এন টেক। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় পিপল এন টেকের পরিচালক ড. সৈয়দ হাসান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মিলন এবং ম্যানেজার সাঈদ আলম সুমন ছিলেন।