ফেসবুক পোস্টে মিলল এতিমখানার ফ্যান
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ২ জুন ২০১৯ রোববার
ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার বাছট গ্রামের একটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার নির্মাণাধীন শান্তি ভবনের কার্পেট ও ফ্যান মিলেছে। পনেরটি ফ্যান, দেড় হাজার স্কয়ার ফুট কার্পেট এবং কিছু ইলেকট্রিক্যাল মালামালের অভাবে চার তলা বিশিষ্ট শান্তি ভবনের দোতলার তিনটি কক্ষ এতিম শিশুদের জন্য বসবাসের উপযোগী করা যাচ্ছিল না।
বিষয়টি জেনে গত ২২ মে ডু সামথিং এক্সেপশনাল ( ডিএসই) নামক ফেসবুক গ্রুপের এডমিন জেবিন ইসলাম তাতে একটি পোস্ট দেন। তিনি লিখেছিলেন, একটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার জন্য লিস্টের জিনিসগুলো কিনে পাঠাবেন কেউ আছেন? তবে কেউ চাইলে ইলেক্ট্রিক্যাল মালামাল না দিয়ে যদি মাদরাসার তিনটি কক্ষের জন্য ১৫০০ স্কয়ারফিট কার্পেট কিনে পাঠান, অথবা সিলিং ফ্যান কিনে পাঠান, সেটা আরও বড় উপকার হয়।
পোস্ট দেখেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্লাব-১১ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আকবর হায়দার মুন্না এগিয়ে আসেন। তারা নিজেরা শান্তি ভবনের জন্য ১০টি ফ্যান এবং ১ হাজার ফুট কার্পেট কিনে দেন। বাছট গ্রামের একটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ক্লাব-১১ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফরিদুল আলম রাসেল জানান, রোববার নিজেদের উদ্যোগে ওই মাদরাসায় ট্রাকে করে ফ্যান এবং কার্পেট পাঠাবে ক্লাব-১১ ফাউন্ডেশন। ডু সামথিং এক্সেপশনাল থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এতিমদের মুখে হাসি ফোঁটানোর সুযোগটি এবারও হাতছাড়া করলেন না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) শেখ নাজমুল আলম। নিজের বোনাসের টাকা বাঁচিয়ে তিনি মাদরাসার এতিম ও দরিদ্র শিশুদের ঈদ উপহার দিলেন। এ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে ঈদ উপহারগুলো বিতরণ করেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নতুন পোশাক বিতরণের এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমাজের অনগ্রসর মাদরাসার এতিম এবং দুস্থ শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ বিলিয়ে দেয়ার এই মহান প্রয়াস শত শত পুলিশ সদস্যদেরকে নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করবে।
এ বিষয়ে ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদীন বলেন, এ মাদরাসার এতিম শিশুদের বেশির ভাগ অভিভাবকদেরই ঈদে নতুন পোশাক কিনে দেয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই। কিন্তু যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম স্যারের দেয়া এই উপহারগুলো এতিম ও দরিদ্র শিশুদের ঈদ আনন্দের পরিপূর্ণতা এনে দেবে।