তামাকে কর বাড়াতে অর্থমন্ত্রীকে আট এমপির চিঠি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৪৯ এএম, ২ জুন ২০১৯ রোববার
আসন্ন বাজেটে সব তামাকজাত পণ্যে কর আরোপের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর দাবিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি দিয়েছেন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৮ এমপি।
এই ৮ এমপি হলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, নাটোর-৪ আসনের অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস, লালমনিরহাট-১ আসনের মো. মোতাহার হোসেন, রংপুর-২ আসনের আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-১ আসনের মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও নীলফামারীর সংরক্ষিত আসনের (মহিলা আসন-২৩) এমপি রাবেয়া আলীম।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক শক্তিশালী তামাক শুল্কনীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়ে এই ৮ এমপি উল্লেখ করেন, তামাকপণ্য ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু হয়।
বর্তমানে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ (১ কোটি ৯২ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন। ২০ দশমিক ৬ শতাংশ (২ কোটি ২০ লক্ষ) ধোঁয়াবিহীন তামাক (জর্দা, গুল, খৈনী, সাদাপাতা) ব্যবহার করেন।
ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের হার নারীদের মধ্যে অনেক বেশি। বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সের প্রায় ৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরী তামাকপণ্য ব্যবহার করে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেও চিঠিতে আরো বলা হয়।
জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর তামাকের নেতিবাচক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ‘ বাস্তবায়নে আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ চিঠিতে তুলে ধরেন এমপিরা।
চিঠিতে যেসব তামাকপণ্যের ওপর করারোপ করে যেসব সুপারিশ তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো- সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪টি মূল্যস্তর (৩৫ টাকা, ৪৮ টাকা, ৭৫ টাকা এবং ১০৫ টাকা) বিলুপ্ত করে ২টি মূল্যস্তর (৫০ টাকা ও ১০৫ টাকা তদূর্ধ্ব) নির্ধারণ এবং গুল জর্দার ক্ষেত্রে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বাতিল করে সিগারেট ও বিড়ির ন্যায় খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ করা।
সেইসঙ্গে সব তামাক পণ্যের প্যাকেট অথবা কৌটাপ্রতি সম্পূরক শুল্কের একটি অংশ সুনির্দিষ্ট আকারে আরোপ করা হোক, যাতে ক্ষতিকর এসব পণ্যের প্রকৃত দাম আরো বেড়ে যায়।