শনিবার   ০৯ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৪ ১৪৩১   ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অভিনেতা নয় রঙমিস্ত্রী হতে চেয়েছিলেন সজল!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:০৭ এএম, ২ জুন ২০১৯ রোববার

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সজল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখানে শিক্ষাকালীন সময়েই বিনোদন জগতে তার পথ চলা শুরু। তবে অভিনেতা হিসেবে নয়, একজন উপস্থাপক হিসেবে। একুশে টেলিভিশনে দীর্ঘদিন ‘তাকদুম তাকদুম’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তবে এই অনুষ্ঠানের সুযোগ পাওয়ার ঘটনাটি মনে পড়লে এখনো সজল ভেবে পান না, কেন তিনি সেদিন অডিশনে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। 

স্মৃতি মনে করে সজল বলেন, সে সময় লোকাল বাসে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেতাম। এতো পরীক্ষা থাকতো যে আমি বাসে পড়তে পড়তে ক্লাসে যেতাম। বাসে নানান রকমের মানুষ উঠতো। কখনো কখনো দাঁড়িয়ে যেতে হতো। একবার বাসে বসে আমি পড়ছি, তখন দেখি একটা মুরগির বাচ্চা আমার খাতার ওপর এসে পড়ল। আমি তো অবাক, পরে দেখি আমার পাশে একজন অনেকগুলো মুরগি নিয়ে বসে আছেন। তিনি ছিলেন মুরগি বিক্রেতা। 

 

 

তিনি বলেন, আরেকদিন আমি বাসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ক্লাসে যাচ্ছি। হঠাৎ দেখি আমার গায়ে পানি। পরে খেয়াল করি বাসের ছাদে একজন মাছ বিক্রেতা উঠেছেন, তার মাছের পানি ওপর থেকে এসে জানালার মধ্য দিয়ে আমার গায়ে পড়েছে। সেদিনই ছিল একুশে টেলিভিশনে আমার অডিশন। ট্র্যাফিক জ্যাম ঠেলে সেই দুর্গন্ধ গায়ে মেখেই অডিশনে হাজির হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কিছুই হবে না। তবে ভাগ্য সহায় ছিল। তাই হয়তো উত্তীর্ণ হয়েছিলাম।

মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে উপস্থিত হয়ে সজল স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, একটা সময় রাস্তাঘাটে হকারের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়তে বসতে যেতেন। বাবা-মা সীমিত হাত খরচ দিতেন বলে সব বই কেনার সুযোগ হতো না। তাই রাস্তাতেই প্রিয় লেখকের বই গোগ্রাসে গিলতেন। যদিও ছোটবেলায় অভিনেতা, মডেল, উপস্থাপক কিংবা অন্য কোনো পেশায় নয়, সজল হতে চেয়েছিলেন রঙমিস্ত্রী। পরে নাটকে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সজলের দু:খ ঘুচেছে। 

 

 

রুম্মান রশীদ খান ও নন্দিতার উপস্থাপনায় ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে আসছে ঈদের ৪র্থ দিন সকাল ৭টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন রকিবুল আলম ও জোবায়ের ইকবাল।