শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জামাতের অপেক্ষায় জাতীয় ঈদগাহ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ৪ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত আদায়ের জন্য সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু নামাজের অপেক্ষা।

সোমবার জাতীয় ঈদগাহ মাঠ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকরা এরই মধ্যে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রতিটি সারিতে ফ্যান ও লাইটিংয়ের কাজ করছেন। প্যান্ডেলের জন্য বাঁশের তৈরি অবকাঠামো, এছাড়াও বৃষ্টি নিরোধক ত্রিপল (সামিয়ানা) টাঙানোর কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এখন লাইট, ফ্যান লাগানো হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোসহ সাজসজ্জার কাজ চলছে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ করছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের অজুখানা ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসি।

 

 

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, বিদেশি কূটনৈতিক, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো ঈদুল ফিতরে লাখো মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহ এর পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ডিএসসিসি’র অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানিয়েছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদগাহে এবার ৯০ হাজার থেকে এক লাখ মুসল্লির জন্য নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও পাঁচ থেকে ছয় হাজার নারী মুসল্লির জন্য আলাদাভাবে পর্দা দিয়ে নামাজ আদায়ের বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। তাদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথেরও ব্যবস্থা থাকছে।

 

এবারো প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সরদার অ্যান্ড সন্স। মূলত ঈদগাহের প্যান্ডেল তৈরি, সামিয়ানা ও বৃষ্টি নিরোধক ত্রিপল টাঙানো এবং ঈদগাহ ময়দান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি করে ডিএসসিসি। 

 

 

নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, গণপূর্ত অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে মাঠের মাটি সমান এবং গাছে রং করার কাজ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহ প্রস্তুত করা এবং নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার কাজ বিভিন্ন সংস্থা মিলে করে। আমরা সিটি কর্পোরেশন শুধু প্যান্ডেল তৈরি, সামিয়ানা ও বৃষ্টি নিরোধক ত্রিপল, মোবাইল টয়লেট স্থাপন এবং ঈদগাহের ভেতরে ও বাইরে সার্বিক সৌন্দর্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার কাজ করি।

প্রকৌশলী বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান (র‌্যাব) ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। আর মাইকিংয়ের কাজ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়।

 

 

 

তিনি আরো বলেন, অজুর পানি ছাড়াও খাওয়ার পানির জন্য ওয়াসাকে বলা হয়েছে। এছাড়া কাকরাইল, মৎস্য ভবন, জাতীয় প্রেসক্লাব, দোয়েল চত্বর ও এর আশপাশের র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে। ভিআইপিদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও আলাদা ক্যামেরা ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবে ডিএমপি। নিরাপত্তা দেবে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড। ঈদগাহের চারপাশে সাদা পোশাকে থাকবেন গোয়েন্দারাও।

 

 

পিয়ারু সরদার অ্যান্ড সন্সের ব্যাবস্থাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ১০ রমজান থেকে তারা ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছেন। প্রথম দিন থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০ জন শ্রমিক এবং বুধবার থেকে ১৭০ জন শ্রমিক দিনরাত কাজ করে গেছেন। ৪৩ হাজার বাঁশ এবং প্রায় ৩শ’ মন রশি দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ করা হয়েছে।

 

তিনি জানান, এরই মধ্যে প্রত্যেক সারিতে ফ্যান, বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ ও ত্রিপল,সামিয়ানা  টাঙানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু কার্পেট বিছানো বাকি।