বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও দেশের সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ৫ জুন ২০১৯ বুধবার
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে মুসলিমদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় মুসল্লিদের ঈদের জামাতে অংশ নিতে বেশ ভোগান্তি পেতে হয়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মুসল্লিরা রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে জড়ো হন।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতিসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও দেশবাসীর সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা দু'হাত তুলে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।
এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের দু'টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলি ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এরপর সকাল আটটায় দ্বিতীয় জামায়াত অনষ্ঠিত হয়। তবে মুষলধারে বৃষ্টি নামায় ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লিরা।
এদিকে জাতীয় ঈদগাহের প্রবেশপথে বসানো হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একাধিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তল্লাশি শেষে সারিবদ্ধ ভাবে ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। পুরুষদের পাশাপাশি কয়েক হাজার নারীও ঈদ জামাতে অংশ নেন। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি এসএসএফ, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে ছিল।
জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ৩০২টি স্থানে ঈদের জামাত হয়। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ২২৮টি জামাত হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে জামাত হয়। এসব জামাতের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা ।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া এবং দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দুটি বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী বিভিন্ন ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি অফিস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ঈদ মোবারক লেখা পতাকায় সাজানো হয়েছে। টেলিভিশন চ্যালেন ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। দেশের সব কারাগার, হাসপাতাল, সরকারি শিশু কেন্দ্র, ছোটমনি নিবাস ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।