চিরসবুজ নায়িকারা, রোমান্স করেছেন পিতা-পুত্রের সঙ্গে!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ৮ জুন ২০১৯ শনিবার
নায়করা চিরসবুজ। সেটা কিন্তু মিথ্যা নয়। কারণ তারা বৃদ্ধ বয়সে এসেও নিজেদের গ্ল্যামার ধরে রেখে সেটা প্রমাণ করেছেন। বলিউডের সালমান খান, শাহরুখ খান অথবা আমির খানের কথা যদি বলি তাহলে বুঝতে বেশ সহজ হবে, এরা এই বয়সে এসেও মেয়ের বয়সী নায়িকাদের নায়ক হয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন। যদিওবা নায়করা চিরসবুজ, নায়িকারা না, এমন ধারণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন বলিউডের অনেক তারকা (নায়িকারা)। তারা যুগ যুগ ধরে নিজেদের গ্ল্যামার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এমনকি তারা একাধারে ‘বাবা ও ছেলে’ দু’জনের সঙ্গেই কাজ করেছেন।
আজ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের এমন কিছু চিরসবুজ নায়িকার সন্ধান দিব, যারা নিজেদের গ্ল্যামার ধরে রেখে হয়েছেন আলোচিত। চলুন দেখে নেয়া যাক এমন কোন কোন নায়িকা আছেন, যারা নিজেদের বয়স ধরে রেখে বাপ-বেটার নায়িকা হতে পেরেছেন।
মাধুরী দিক্ষিত
বলিউড নায়িকা মাধুরী দিক্ষিত। গ্ল্যামারের দিক থেকে একটুও কমতি নেই এই নায়িকার। এই দিক থেকে সবার ওপরে থাকবেন মাধুরী। রণবীর কাপুরের সঙ্গে তিনি আইটেম গানে ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে নেচেছেন। ঠিক তার এক বছর আগে তিনি রণবীরের বাবা ঋষি কাপুরের সঙ্গে ‘ইয়ারানা’ ও ‘প্রেম গন্থ’ নামের দু’টি ছবিতে কাজ করেছেন। এখানেই শেষ নয়, আরো এক বাবা ও ছেলে জু’টির সঙ্গে রোমান্সের সুযোগ হয়েছে তার। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ৪২ বছর বয়সী বিনোদ খান্নার বিপরীতে কাজ করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে ফিরোজ খানের ‘দয়াবান’ সিনেমার ‘আজ ফির তুমপে’ গানটা খুব জনপ্রিয় হয়। তখন মাধুীর বয়স মাত্র ২০। এর বছর দশেক বাদে বিনোদের ছেলে অক্ষয় খান্নার সঙ্গেও জুটি বেঁধে ‘মোহাব্বাত’ সিনেমা করেন মাধুরী। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, গ্ল্যামারের দিক থেকে কতটা শক্তিশালী এই নায়িকার।
ডিম্পল কাপাডিয়া
বলিউডের আরেক চির সবুজ অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়া। তিনি সানি দেওলের সঙ্গে ১৯৮৪ সালে জুটি বেঁধে ‘মাঞ্জিল মাঞ্জিল’ সিনেমাটি করেন। ১৯৯১ এর দিকে এসে ধর্মেন্দ্র (সানি দেওলের বাবা) তার সঙ্গে ‘মাস্ত কালান্দার’ সিনেমাটিতে করেন। এমনটি একই বছর ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তার পরবর্তী ছবি ‘দুশমন দেবতা’-তে একটি চুম্বন দৃশ্যও ছিল। বাবা-ছেলের সঙ্গে ডিম্পল কাপাডিয়ার রোমান্সের আরো অনেক নজীর অবশ্য আছে। সেখানেও আছেন বিনোদ ও অক্ষয় খান্না। বিনোদ ও ডিম্পল এক সঙ্গে কাজ করেছেন ‘খুন কা কার্জ’, ‘লেকিন’ ও ‘ইনসাফ’-এর মত সিনেমায়। ওই সময় এই জুটি বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছিল। এদিকে, ২০০১ সালে অক্ষয় খান্নার বিপরীতে ডিম্পল কাপাডিয়া কাজ করেন ‘দিল চাহতা হ্যায়’ সিনেমায়। অসম এক প্রেমের গল্পে কাজ করেন এই দুজন।
শ্রীদেবী
শ্রীদেবী। তাকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। তিনিও আগে ছেলে, পরে বাবার সঙ্গে কাজ করেন। শ্রীদেবী ১৯৮৯ সালে সানি দেওলের বিপরীতে ‘চালবাজ’ সিনেমায় কাজ করেন। এর পরের বছর তিনি ১৯৯০ সালে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে শীর্ষ চরিত্রে কাজ করেন ‘নাক বন্দী’ সিনেমায়। এর বাদেও আরো পাঁচটি সিনেমায় শ্রীদেবী ও ধর্মেন্দ্র এক সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেন। তবে এই চিরসবুজ নায়িকা গেলো বছর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার মৃত্যুর পর থেকে এখনো তাকে স্মরণ করে পুরো বলিউড।
রাণী মুখার্জি
বলিউডের অন্যতম নায়িকা রাণী মুখার্জি। তিনি ২০০১ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘বাস ইতনা সা খওয়াব হ্যায়’ সিনেমায় কাজ করেন। এরপর তারা এক সঙ্গে ‘যুব’, ‘বান্টি ওউর বাবলি’ ও ‘কাভি আলবিদা না ক্যাহনা’ মত সিনেমায় নিজেদের রোমান্স দেখিয়েছেন। পরে ২০০৫ সালে এসে রাণী তার বাবা অমিতাভ বচ্চন সঙ্গে কাজ করেন সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ব্ল্যাক’ সিনেমায়। সেখানে চরিত্র ও গল্পের প্রয়োজনে চুম্বন দৃশ্যও করেন তারা।
অমৃতা সিং
বলিউডে তেমন কাজ করেননি অমৃতা সিং। তবে লাবণ্য ও গ্ল্যামারে কোন কমতি ছিল না এই নায়িকার, সে প্রমাণ তিনি দিয়েছেন ঠিকই। অমৃতা সিং সানি দেওলের বিপরীতে ১৯৮৩ সালে কাজ করেন ‘বেতাবি’ সিনেমায়। ছয় বছর বাদে তিনি সানির বাবা ধর্মেন্দ্রর স্ত্রীর চরিত্রে ‘সাচ্চাই কি তাকাত’ সিনেমায়ও কাজ করেন।
শিল্পা শেঠি
যেমন ফিগার তেমন সুন্দরী বলিউড নায়িকা শিল্পা শেঠির। রূপে গুণে কোন কমতি নেই তার। তিনিও বচ্চন পরিবারের দুই নায়কের সঙ্গে রোমান্স করেছেন সমানতালে। শিল্পা অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে কাজ করেন ‘লাল বাদশাহ’ সিনেমায়। এছাড়া ‘দোস্তানা’ সিনেমার আইটেম সং ‘শাট আপ অ্যান্ড বাউন্স’-এ তিনি হটরূপে হাজির হন ছেলে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে। এছাড়াও এই জুটি একসঙ্গে ‘ফির মিলেঙ্গে’ ও ‘দাস’ সিনেমায় কাজ করেন।
হেমা মালিনি
হেমা মালিনি। তিনি ‘স্বাপ্নো কা সওদাগর’ সিনেমাটিতে অভিনয় করেন কিংবদন্তি রাজকাপুরের সঙ্গে। এটি তার অভিষেক ছবি। বয়সের অনেক পার্থক্য থাকলেও পর্দায় তারা বেশ মানিয়ে যান। এরপর ১৯৭৪ সালে হেমা কাজ করেন ‘হাথ কি সাফাই’ সিনেমায়। সেখানে তার বিপরীতে ছিলেন রাজকাপুরের ছেলে রণধীর কাপুর।