শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ সিধু!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৩১ এএম, ১০ জুন ২০১৯ সোমবার

লোকসভা ভোটের পর পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্তর্কোন্দল আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং এর সঙ্গে বিরোধের জেরে গুরুত্বপূর্ণ দফতর কেড়ে নেয়া হয়েছিল মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুর। 

দেয়া হয়েছিল তুলনায় হালকা দফতর। এবার আরও ডানা ছাঁটা হলো তার। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা নেয় যে ৮টি উপদেষ্টা কমিটি, তার সবক’টি থেকেই বাদ দেয়া হল সিধুকে। 

লোকসভা ভোটের সময় পর্যন্ত পাঞ্জাবের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সিধু। ভোটের ফল বের হওয়ার পর মন্ত্রিসভার রদবদলে তার হাত থেকে ওই গুরুত্বপূর্ণ দফতরটি কেড়ে নেয়া হয়। সিধুকে দেয়া হয় তুলনায় হালকা বিদ্যুৎ ও শক্তি দফতরের দায়িত্ব। মন্ত্রিসভায় তার দায়িত্ব কাটছাঁট হচ্ছে, এই খবর পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকও এড়িয়ে যান সিধু। নতুন দফতরের দায়িত্বও এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করেননি তিনি।

 

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সিধুর বিরোধ অনেক দিনের। এবার লোকসভা নির্বাচনে চণ্ডীগড় আসনে তার স্ত্রী নভজ্যোত কউরকে টিকিট দেয়া হোক, এই দাবি জানিয়েছিলেন সিধু। কিন্তু মূলত মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংয়ের আপত্তির জেরেই টিকিট পাননি সিধুর স্ত্রী। এরপর থেকেই নতুন মাত্রা পায় সিধু-অমরেন্দ্রর সঙ্ঘাত। মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যে তা বার বার প্রকাশ্যে চলে আসে। 

লোকসভা ভোটের প্রচার-পর্বে সিধু সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, ২০১৫ সালে পুলিশ গুলি চালনার ঘটনায় অভিযুক্ত তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল ও তার পুত্র সুখবীর সিং বাদলকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? তার প্রেক্ষিতে ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং বলেছিলেন, উনি (সিধু) যদি সত্যি সত্যিই এক জন অনুগত কংগ্রেস কর্মী হতেন, তা হলে ভোটের সময় এই প্রশ্ন না তুলে তা অন্য সময় তুলতেন।