শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৪ ১৪৩১   ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এই বলি তারকাদের কালো অধ্যায়

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ১০ জুন ২০১৯ সোমবার

পৃথিবীর সব দেশের নায়ক-নায়িকাদের ক্যারিয়ার শুরু হয় অনেকটা চরাই উৎরাই। তারকাদের মিডিয়ায় নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করতে শুরুতে অনেক কাটখড় পোহাতে হয়। এমনকি ক্যারিয়ার শুরুর আগে এই অভিষেক তারকাদের কেউ চেনেন না বলে অনেকেই বি গ্রেড আবার অনেকেই সি গ্রেডের ছবিতেও কাজ করেন। 

আসলে এই প্ল্যাটফর্মে এসে কেউ চাইলে হুট করে শীর্ষ স্থান দখল করতে পারেন না। এর জন্য প্রয়োজন হয় অনেক পরিশ্রমের। কেউ সে পরিশ্রম করে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারে আবার কেউ ছিটকে পড়ে। তবে নায়ক-নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরুতে সকলের দ্বিতীয় লিডে অথবা বি গ্রেডের ছবিতে কাজ করতে হয়।

আজ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের এমন কিছু তারকার গল্প বলবো, যারা বলিপাড়ায় শুরুতে ক্যারিয়ার গড়তে এসে বি গ্রেডের সিনেমায় কাজ করেছেন। চলুন দেখে নেয়া যাক, এমন তারকার মধ্যে কে কে আছেন আজকের তালিকায়। 

অক্ষয় কুমার

বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। বর্তমানে এই পাড়ার শক্তিশালী তারকাদের মধ্যে তার নাম অন্যতম। তবে একসময় ক্যারিয়ার গড়তে অনেক কাটখড় পোহাতে হয়েছে তাকে। তবে এই যুগে এসে অক্ষয় পর পর হিট সিনেমার জন্য খ্যাতিমান। সময়ের অন্যতম পরিশ্রমি ও প্রতিভাবান নায়কদের একজন তিনি। সে খ্যাতি’তো আর আগে ছিল না। সেই ১৯৯২ সালের কথা। ওইসময় তিনি ‘মিস্টার বন্ড’ নামের একটি বিগ্রেড সিনেমায় কাজ করেছিলেন। তবে এখন তিনি শুধু ভাবেন, কেমন দিন ছিল সেসময়ের। 

ইশা কোপিকার

আরেক বলিউড তারকা ইশা কোপিকার। জীবনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কতই না পরিশ্রম করেছেন তিনি। ‘এলওসি’, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিউ কিয়া’ কিংবা ‘ডন’-এর মত সিনেমা করা এই নায়িকাকেও একসময় দেখা গেছে বি-গ্রেড সিনেমায়। এতে তার সঙ্গে আরো ছিলেন তারা শর্মা ও রাজ বাব্বার। অবশ্য সিনেমাটি রগরগে দৃশ্যে ভরপুর ছিল, তাই বেশ সমালোচিতও হয়েছিল ইশা কোপিকার।

মমতা কুলকার্নি

মমতা কুলকার্নি। এখনো সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না তার। নব্বই দশকে তিনি ছিলেন বলিউডের অন্যতম সাহসী অভিনেত্রীদের একজন। আর ওইসময় কোন হট দৃশ্যে খুব সাধারণভাবে হাজির হয়ে যেতেন তিনি। তবে সেই সময়ের ‘সাহস’-কে পুঁজি করেই তিনি ২০০২ সালে ‘ডিভাইন টেম্পল খাজুরাহো’ নামের একটি বি-গ্রেড সিনেমায় কাজ করেছিলেন। যা রীতিমত সাড়া ফেলেছিল বলিউডের আনাছে-কানাছে।

মনিষা কৈরালা

আরেক বলিউড তারকা মনিষা কৈরাল। একসময় এই নেপালী সুন্দরী (নেপাল থেকে আসা এই তারকা) অভিনয় দক্ষতার জন্য খ্যাতি কুঁড়িয়েছিলেন। তবুও তিনি একসময় নিজেকে আরো বেশী ফোকাস করতে বি-গ্রেড সিনেমার পথে হেঁটেছিলেন। ২০০২ সালের সেই সিনেমাটি ছিল ‘ছোটি সি লাভ স্টোরি’। এখানে একজন তরুণের সঙ্গে এক বয়স্ক নারীর প্রেম দেখানো হয়।

ক্যাটরিনা কাইফ ও অমিতাভ বচ্চন

বলিউডের এই সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফের ক্যারিয়ার শুরু হয় বি-গ্রেড সিনেমা দিয়ে। ২০০৩ সালের সেই সিনেমাটির নাম ‘বুম’। যদিও আজকাল বড় বাজেট ছাড়া সিনেমাই করেন না তিনি। ‘বুম’-এ আরো ছিলেন বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন ও গুলশান গ্রোভার। যাইহোক, ছবিটিতে এতটা বোল্ড দৃশ্যে হাজির হয়েছিলেন তিনি, যাতে এখনো রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।

শক্তি কাপুর

বলিউডের খুবই প্রতিভাবান ও সব্যসাচী একজন অভিনেতা শক্তি কাপুর। যেকোনো ধরণের চরিত্রে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। বলিউডের এমন শক্তিশালী অভিনেতাও কিন্তু একদিন বি-গ্রেড সিনেমা করেছিলেন। ‘মেরি লাইফ উসকি ওয়াইফ’ নামের একটি ছবিতে তাকে দেখা গেছে। যেটি ২০০৯ সালে প্রথম মুক্তি পায়।

মিঠুন চক্রবর্তী

মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতের সব ভাষায় অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে বিস্তর সিনেমা করেছেন এই অভিনেতা। এর মধ্যে বি-গ্রেড সিনেমাও আছে তার ঝুলিতে। নাম ‘ক্লাসিক ড্যান্স অব লাভ। যা মুক্তি পায় ২০০৫ সালে।

নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকী

নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকী। এই প্রতিভাবন অভিনেতারও নিজের আসন দখল করতে বহু কাঠখর পোড়াতে হয়েছে। অনেকগুলো সিনেমাতে তিনি ছোটছোট চরিত্র করেছেন। অর্থের জন্য তিনি ‘মিস লাভলি’ নামের একটি বি-গ্রেড সিনেমাও করেছিলেন। এই সিনেমাটি ২০১২ সালে মুক্তি পায়।

রাজেশ খান্না

বলিউড তারকা রাজেশ খান্না। এই তালিকায় সবচেয়ে পরের আসনে থাকবেন তিনি। মৃত্যুর কিছু বছর আগে বলিউডের প্রথম এই সুপারস্টার ফিরেছিলেন রুপালি পর্দায়। ২০০৮ সালে তিনি ‘ওয়াফা’ নামের একটি বি-গ্রেড সিনেমা করে বিতর্কের জন্ম দেন। এবং এই ছবিটি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সমালোচিত ছবি।