দুই ওসমানকে টার্গেট করে চলছে নানা অঘটন
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ বুধবার
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অন্যতম শক্তি ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারে সহোদর দুই জনপ্রিয় এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানকে টার্গেট করে নির্বাচনে নাশকতার মহাপরিকল্পনার আশঙ্কা করছে সরকারি দল।
বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে শামীম ওসমান ও ৫ আসনে সেলিম ওসমানের বিপরীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিএনপির জনপ্রিয় ও হেভিয়েটে প্রার্থীদের দেওয়া হয়নি মনোনয়ন। সেখানে দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে অপরিচিত প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাসেমী ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে দল বদলকারী এস এম আকরামকে। তখন থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ তথা সরকারি দলের প্রার্থীরা নানা আশঙ্কা করে আসছিলেন নানা অঘটনের।
গত ৭ দিনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনায় সেই শংকার বহি:প্রকাশ ঘটছে। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মতে, ভয়ংকর কিছু ঘটাতে রহস্যের জাল গভীর হচ্ছে। আর এক একটি ঘটনায় তা বের হয়ে আসছে।
সূত্র মতে, গত রবিবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এস এম আকরাম বন্দরে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, নাসিক মেয়র আইভীর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তিনি সেখানে আশা প্রকাশ করেন, ২০১১ সালে নাসিক নির্বাচনের প্রতিদান তাকে দেবেন আইভী। এক্ষেত্রে আইভী জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী হলেও এখনো মহাজোট কোনো প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জামাতের চিহ্নিত পৃষ্ঠপোষক যার নামে জেলা প্রশাসনে ভয়াবহ নাশকতাসহ বহু মামলা রয়েছে সেই আল জয়নাল সদর মডেল থানার গিয়ে পিস্তল জমা দিতে যান। সেখানে তার পিস্তল থেকে গুলি বের হয়ে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম। সেখানেই তাকে আটক করা হয়।
কিন্তু গভীর রাতে সেই জামাত নেতাকে ছাড়াতে থানায় গিয়ে হাজির হন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসিক মেয়র আইভীর বোন জামাতা আব্দুল কাদির। যদিও ওসি জয়নালকে ছাড়তে রাজী হয়নি। অপরদিকে আব্দুল কাদিরও থানায় যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এদিকে সোমবার ভোরে কুতুবপুরে শামীম ওসমানের ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বত্তরা। এদিকে রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকায় সেলিম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
বিভিন্ন সভায় শামীম ওসমান অভিযোগ করে আসছিলেন, গভীর ষড়যন্ত্র করেছেন জামাত শিবির জঙ্গিরা। এর কয়েক দিন পরেই জামাত শিবির সন্দেহে তিনটি স্কুল থেকে ১৫৩ জনকে আটক করে পুলিশ। সেখানে উদ্ধার করা হয় ১৮ টি ককটেল।
জেলা আওয়ামী লীগ তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, বিভিন্ন ঘটনায় শঙ্কিত নেতাকর্মীরা। দুর্বৃত্তদের মূল টার্গেট শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান। এই দুই শক্তি বিরোধীদল তথা স্বাধীনতাবিরোধী জামাত শিবিরের মূল বাধা।
বিভিন্ন স্থানে শামীম ওসমান বলে আসছেন, যুগে যুগে খন্দকার মোশতাকদের জন্ম হয়। ওরা মুসল্লী সুরতে মোনাফেক হয়ে দলে প্রবেশ করে। তাই তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আবু হাসনাত শহীদ বাদল বলেন, শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারপরও বলি শত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেঙ্গে এই দুই ভাই নির্বাচনে জয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, আমরা সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে শেখ হাসিনার প্রার্থীকেই জয়ী করাবো।