স্রোতের সঙ্গে ভেসে যেতে চাই: নোবেল
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩০ এএম, ১১ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার
কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো 'সা রে গা মা পা'র মাধ্যমে এপার আর ওপার, দুই বাংলাতেই এখন তিনি পরিচিত মুখ মইনুল আহসান নোবেল। তার মায়াবী কন্ঠস্বরে আপাতত বুঁদ গানপ্রিয় বাঙালি। রকস্টার সুলভ তার গায়কিও বেশ প্রশংসিত। নোবেল যে লম্বা রেসের ঘোড়া, তা মেনে নিয়েছেন 'সা রে গা মা পা'র বিচারক শান্তনু মৈত্রের মতো সুরকারও। ইতিমধ্যে সারেগামাপার মঞ্চে শান্তনুর সুরে গেয়ে ফেলেছেন মৌলিক গান। গেয়েছেন 'ভিঞ্চি দা'এর মতো সিনেমাতেও। সম্প্রতি কলকাতার একটি গনমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেছেন নোবেল।
এ সময় শান্তনু মৈত্রের সুরে মৌলিক গান গাওয়ার বিষয়ে নোবেল বলেন, শান্তনু মৈত্রের মতো সুরকারের সুরে মৌলিক গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সত্যি ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এমন সুযোগ পাব, তা কখনো ভাবিনি। কিন্তু কোনো কিছুকেই বড় করে দেখছি না। তাতে মনোযোগ নষ্ট হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে গায়কীর উপরেও। তাই এই সব কিছু নিয়ে না ভেবে শুধু লক্ষ্য স্থির রেখে স্রোতের সঙ্গে ভেসে যেতে চাই। এই স্রোতে যাতে ভেসে থাকতে পারি, সেটাই চেষ্টা।
'সা রে গা মা পা'র মঞ্চে প্রায় প্রতিটা পারফরম্যান্সেই বিচারকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন নোবেল, পেয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা। নোবেল বলেন, বলতে পারেন, শ্রোতারা যাতে কখনো নিরাশ না হন, সেই চেষ্টাই করে যাই। হয়তো এই ভাবনা থেকেই উৎসাহ পাই।
নোবেলের গানের চর্চা শুরু হয়েছিলো অনেক আগে থেকেই। তার একটা ব্র্যান্ডও ছিল। কিন্তু কখনো ভাবেননি কলকাতায় এসে এতো লোকের সামনে গান গাওয়ার সুযোগ পাবেন। সারেগামাপার মতো রিয়্যালিটি শোয়ে আসার পরিকল্পনাও ছিল না। সবটাই নাকি হঠাৎ করেই হয়েছে। 'সা রে গা মা পা'র মঞ্চে অডিশনের বিষয়ে নোবেল জানান, আমার মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল আমি সারেগামাপার মঞ্চে গান গাই। তাই বাংলাদেশে অডিশন শুরু হতেই সেখানে পৌঁছে যাই। নির্বাচিত হওয়ার পরে আসি কলকাতায়। তার পরের জার্নিটা তো সবারই জানা।
এ সময় নোবেল আরো জানান, দ্বাদশ শ্রেণির পরে আর পড়াশোনা করিনি। বলতে পারেন, ছোট থেকেই পড়াশোনায় তেমন একটা মন ছিল না। গান নিয়েই মজে থাকতাম। তাই বলে ভাববেন না বাড়িতে গানের পরিবেশ ছিল। কিন্তু একথাও ঠিক যে, মায়ের উৎসাহেই আমার কলকাতায় আসা। কলকাতার হাজরার কেমব্রিজ স্কুলে পড়তাম আমি। সে সময় থেকেই গানের চর্চা শুরু।
প্রথম গিটার কেনার প্রসঙ্গে নোবেল বলেন, কলকাতায় থাকার সময় অনেকে মিলে চুটিয়ে গান গাইতাম। তখনই গিটার কেনার কথাটা মাথায় আসে। ৬০০ টাকায় কিনেও ফেলি একটা গিটার। গান-বজনা চলতে থাকে। তখনো ভাবিনি এত বছর পরে আবার কলকাতায় এসে গান গাইব।