শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালিতে সহিংসতায় নিহত ১০০

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ১১ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

সেন্ট্রাল মালির একটি গ্রামে জাতিগত সহিংসতায় একশ মানুষ নিহত হয়েছে। রোববার ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত কয়েক মাসে সহিংসতায় দেশটিতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। 

ওই গ্রামের দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ডোগন ও ফুলানি মধ্যকার সহিংসতায় এত বেশি রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। মালি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসি বলছে, রোববার মোবতি এলাকায় সানগা শহরের কাছে হামলার ঘটনায় গ্রামটিতে ৩০০ জন বাসিন্দা ছিল। এদের মধ্যে একশ জন নিহত এবং আরো ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। তবে গ্রামটি থেকে ৯৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগেরই শরীর পোড়া ছিল। আরো মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে।

রোববারের ওই হামলা থেকে গ্রামের মাত্র ৫০ জন মানুষ রক্ষা পেয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। গেল জানুয়ারি থেকেই ডোগন শিকারি এবং সেমি নোমাডিক ফুলানি হার্ডার মধ্যে নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে। এদিকে কোন গ্রুপ এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এদিকে রয়টার্স জানায়, কেবল মার্চেই এক বন্দুক হামলায় দেড় শতাধিক নিহত হয়েছিল। মালির সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী হামলা।

তবে বিবিসি জানিয়েছে, এসব হামলার সবই কিন্তু জাতিগত সংঘাত নয়। এর মধ্যে কিছু জিহাদি গ্রুপের হামলাও ছিল। মালি সরকার এই হামলাকে ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে।

এদিকে রোববার সোবামে দা গ্রামে ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে আরো সহিংসতা ঠেকাতে ঐ অঞ্চলে বিমান সহায়তা পাঠিয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী।

আমাদো টোগো নামে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি এএফপিকে বলেন, ৫০ জনের মত ভারি অস্ত্রসজ্জিত ব্যক্তি মোটরবাইক এবং পিকআপে করে আসে। তারা প্রথমে পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে।পরে হামলা করে এবং যে পালানোর চেষ্টা করে তাকেই তারা হত্যা করে। সে সময় গ্রামের কেউ রক্ষা পায়নি। নারী, শিশু, বৃদ্ধ-কেউ না।

প্রসঙ্গত, ওই অঞ্চলে ডোগন এবং ফুলানি বাসিন্দাদের মধ্যে বহুদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর মূল কারণ ডোগনরা প্রথাগত পদ্ধতিতে চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে।