তিউনিশিয়া উপকূলে ভাসমান ৬৪ বাংলাদেশিকে কেউ গ্রহণ করছে না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৪০ এএম, ১৩ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার
তিউনিশিয়া উপকূলে অভিবাসী বোঝাই নৌকাডুবিতে ভয়াবহ প্রাণহানির মাত্র কয়েক দিন পার হতে না হতেই আবারো ওই এলাকায় ৬৪ বাংলাদেশি সহ ৭৫ অভিবাসী উপকূল এলাকায় সাগরে ভাসছেন।
একটি উদ্ধারকারী জাহাজ তাদেরকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু তাদেরকে কেউ গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ১২ দিন ধরে তারা ওই উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসছেন। তাদের অবস্থা শোচনীয়। তাদেরকে খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তবে এসব সুবিধা গ্রহণ করতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের একটিই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। তিউনেশিয়া রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
লিবিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী জানিয়েছেন, ওই বাংলাদেশিদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে তিনি তিউনেশিয়াস্থ রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ নিয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা পেতে তিনি একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছেন।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অণুবিভাগের মহাপরিচালক চিরঞ্জীব সরকার রিপোর্ট পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে রাষ্ট্রদূত সরজমিনে পরিস্থিতি দেখতে তিউনেশিয়ার ওই উপকূলীয় শহরে যাচ্ছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা সেখানে পৌঁছাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূত তিউনেশিয়া কর্তৃপক্ষকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে, ওই অভিবাস প্রত্যার্শীদের তারা যেন স্থল সীমানায় আসার সুযোগ দেয়। এতে তারা অন্তত প্রাণে বাঁচবে।
রেড ক্রিসেন্ট বলছে, লিবিয়া থেকে একটি গ্রুপে এসব মানুষ ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সমুদ্রপথে। এর মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশি। বাকিরা মরক্কো, সুদান ও মিশরের নাগরিক। তাদেরকে বহনকারী বোট ডুবে গিয়েছিল কিনা, এসব বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কারভাবে জানা যায় নি। তবে এটুকু জানা গেছে যে, তিউনিশিয়ার জলসীমায় এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মিশরের একটি বোট। কিন্তু স্থানীয় মেডিনিন শহর কর্তৃপক্ষ এসব অভিবাসীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, শরণার্থী রাখার জন্য তাদের যেসব সেন্টার রয়েছে তাতে অত্যাধিক মানুষে ঠাসা।
গত মাসে কমপক্ষে ৬৫ জন অভিবাসী নিয়ে তিউনিশিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি বোট ডুবে যায়। এতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিবাসী ডুবে মারা গেছেন। এ বছরের প্রথম চার মাসে এই রুটে কমপক্ষে ১৬৪ জন মানুষ ডুবে মারা গেছেন।