বিক্ষোভে অচল হংকং
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ১৩ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বিতর্কিত বহিঃসমর্পণ বিলের প্রতিবাদে রোববার থেকে শুরু হওয়া টানা বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে হংকং। প্রস্তাবিত এই বিলটিতে হংকংয়ের নাগরিকদের বিচারের জন্য চীনের মূলভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।এরই প্রতিবাদে হংকংয়ের প্রধান সড়কগুলোতো হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নেমে এসে বিক্ষোভ পালণ করছে।
বুধবার প্রতিবাদকারীরা হংকংয়ের সরকারি দফতরগুলোর আশপাশের প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থান নেয়ায় শহরের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থলটি অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবাদকারীরা হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের দপ্তরের কাছে পূর্ব-পশ্চিমমুখি লাং ইউও সড়কে ও এর আশপাশে জড়ো হয়েছেন। লামের দফতরের চারপাশে কয়েকশত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ জল-কামান, পেপার স্প্রে এমনকি রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে। সেখানকার পরিস্থীতি ধীরে ধীরে আরো সহিংতার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থনৈতিক কেন্দ্রটিতে যান চলাচলে বাধা দেয়ার জন্য কিছু প্রতিবাদকারী রাস্তায় ব্যারিকেডও তৈরি করেছে। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও অনেকেই তা অগ্রাহ্য করছে। পরিস্থিতি অনেকটা ২০১৪ সালের শেষ দিকে গণতন্ত্রপন্থিদের ‘আমব্রেলা মুভমেন্টের’মতো হয়ে উঠেছে।
সড়কগুলো অবরুদ্ধ থাকায় সরকারি কর্মচারীদের গাড়ি চালিয়ে সরকারি দপ্তরগুলোতে আসা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে চীনের কাছে হংকংয়ের হস্তান্তরের পর থেকে বিতর্কিত এই বিলটিকে কেন্দ্র করে রোববার সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিক্ষোভ দেখেছে এশিয়ার এই অর্থনৈতিক কেন্দ্রটি, কিন্তু তারপরও প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী লাম
বুধবার ভোররাত থেকেই হংকংয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন বিক্ষোভে যোগ দেয়ার জন্য আসতে শুরু করে। শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও ধর্মঘট শুরু করার প্রস্তুতি নিতে থাকে।
বুধবার হংকংয়ের ৭০ আসনের আইন পরিষদে বহিঃসমর্পণ বিলটি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিতর্ক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ব্যাপক বিরোধিতার এই পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই বিতর্ক হবে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি। আইন পরিষদের নিয়ন্ত্রণ বেইজিংপন্থি সংখ্যাগরিষ্ঠদের হাতে।
প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে জনগণের উদ্বেগ প্রশমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লাম। তিনি জানিয়েছেন, তার প্রশাসন বিলটিতে অতিরিক্ত সংশোধনী এনে তাতে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত করবে।