কী আছে ‘গ্রাম হবে শহর’র পরিকল্পনায়?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ১৪ জুন ২০১৯ শুক্রবার
নতুন অর্থবছর ২০১৯-২০ এর প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। এতে গ্রামে আধুনিক শহরের সব ধরনের সুবিধা দিতে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে তিনি অসুস্থতা বোধ করলে স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে বাজেট পেশ সম্পন্ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বাজেট পাস হবে আগামী ৩০ জুন। আর ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
‘গ্রাম হবে শহর’-এর কর্মপরিকল্পনায় যা আছে-
সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চলবে যেভাবে-
“নগর ও গ্রামাঞ্চলে জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাঞ্চলের আমূল রূপান্তরসাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন”
প্রসঙ্গ টেনে বাজেট ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, এর ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈচিত্র ও প্রাণচাঞ্চল্য এসেছে। এ ধারাকে আরো এগিয়ে নিতে ‘আমার গ্রাম হবে শহর’ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
‘গ্রাম হবে শহর’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ পরিকল্পনায় রয়েছে গ্রামের সব বৈশিষ্ট বজায় রেখে পল্লী পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র ও ওয়ার্কশপ স্থাপন। উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, হাল্কা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাতকরণে ঋণ সুবিধাসহ দেয়া হবে প্রয়োজনীয় সহায়তা।
কর্মপরিকল্পনায় আরো রয়েছে পল্লী এলাকায় উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো স্থাপন ও আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি। এছাড়া রয়েছে, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধাসহ প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সব সুবিধা দেয়া ও নাগরিক জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা।
নতুন এ অর্থবছরের বাজেটে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে; যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা। এছাড়া, এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।