শাশুড়ির পাঠানো লেহেঙ্গায় বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন নুসরাত!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:০৪ এএম, ১৪ জুন ২০১৯ শুক্রবার
আর মাত্র ৬ দিন পরেই তুরস্কে নিখিল জৈন-এর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান৷ প্রস্তুতি প্রায় সারা৷ ইতিমধ্যেই বিয়ের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে৷ দুই বাড়িতেই খুশির আমেজ৷ জানা গেল হবু শাশুড়ির পাঠানো লাল লেহেঙ্গা পড়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন নুসরাত।
বিয়ে নিয়ে নিখিল জৈন-নুসরাত জাহান দু’জনেরই স্বপ্ন অনেক৷ যাতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন সব থেকে সেরা হয়৷ সেই কারণে দু’জনে সবরকম ব্যবস্থা নিতে চলেছেন৷ নুসরাত একজন অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি একজন চিত্রশিল্পীও৷ আর সেই শিল্পনৈপূণ্যের ছোঁয়া জুড়ে থাকছে সম্পূর্ণ বিবাহ অনুষ্ঠানের প্রতিটি ক্ষেত্রে৷ আর হবু বৌয়ের সমস্ত সিদ্ধান্তেই সায় নিখিলের৷
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিখিল জানিয়েছেন, তাদের আলাপটা হয়েছিল তিনবছর আগে৷ তার পোশাকের ব্র্যান্ড ‘রঙ্গোলি’ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে আসেন নুসরাত৷ সেই থেকে দেখা-সাক্ষাৎ৷ প্রথম থেকেই নুসরাতের প্রতি একটা ভাল লাগা ছিলই৷ কিন্তু আলাপের পর দু’বছর পর্যন্ত ক্লায়েন্টের মতোই সম্পর্ক নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন নুসরাত৷ তবে ধীরে ধীরে গভীর হয় সম্পর্ক৷ অভিনেত্রী তো ছিলেনই এবার সাংসদও হয়েছেন হবু বৌ৷ আর পুরো ব্যাপারটাই বেশ এনজয় করছেন নিখিলও ৷ আর নুসরতের সেই ‘অরা’বা অলৌকিক আভাকে বেশ পছন্দ করেন নিখিল ৷
সব মিলিয়ে প্রেমে ভাসছেন ‘এনজে'দ্বয় ৷ নুসরাত এবং নিখিল দু’জনের নামেরই আদ্যক্ষর শুরু ‘এন’দিয়ে৷ এরই সঙ্গে তাদের পদবীর আদ্যক্ষর শুরু ‘জে’দিয়ে৷ বিয়ের ট্রেন্ড মেনে গোটা বিয়ের অনুষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে ‘এনজে'৷ বিয়েতে আধুনিকতার ছোঁয়ার সঙ্গে বিয়ের সমস্ত ঐতিহ্য ও রীতি নীতিতেও দেয়া হচ্ছে বিশেষ জোর৷ বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ে৷ আমেজে মেতেছে পরিবার৷ ব্যস্ততা জৈন পরিবারেও৷
গতকাল বুধবার পাত্র নিখিল জৈনের বাড়ি থেকে তত্ত্ব এসে পৌঁছেছে নুসরাতের বাড়িতে৷ নিখিলের মা অভিনেত্রী ও সাংসদ হবু বৌমা নুসরাতের জন্য পাঠিয়েছেন লাল রঙের লেহেঙ্গা ৷ আর শোনা যাচ্ছে, এই লেহেঙ্গা পড়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন নুসরাত৷ এর পাশাপাশি এসেছে প্রচুর শাড়ি, আধুনিক পোশাক, নামী দামি প্রসাধন সামগ্রী, ডিজাইনার ব্যাগ৷ আরো বহু সামগ্রী৷
অন্যদিকে, নুসরাতের বাড়ি থেকেও তত্ত্ব পৌঁছে গিয়েছে নিখিলের বাড়িতে৷ দুই বাড়িতেই শুরু প্রাক-বিবাহকালীন অনুষ্ঠান৷ এবার অপেক্ষা তুরস্কে উড়ে যাওয়ার৷ অপেক্ষা ‘এনজে'দ্বয়ের বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার৷