হাতের কাছের এই আট খাবার খেলেই বাড়বে সুখ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৪৪ এএম, ১৫ জুন ২০১৯ শনিবার
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনই আমাদের নিয়ম করে খাবার খেতে হয়। ধরুন শরীর ঠিক আছে, কিন্তু মনটাই যদি ভালো না থাকে, তবে অনেক কিছুই ব্যর্থ মনে হবে। আর এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এতে বাড়বে সুখ।
সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় এমন গবেষকরা বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছেন। তারা বলেছেন, কিছু খাবারের পুষ্টি উপাদান মানুষের শরীর ও মন দুটোর জন্যই ভালো। একইসঙ্গে ওই খাবারগুলো শরীরকে নানা রোগ থেকেও রক্ষা করে। সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকি কমায়।
গবেষকরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট খাবার না খেয়ে মিশ্রিত খাবারের ওপর গুরুত্বারোপ করার কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, খাবারে ভ্যারিয়েশন থাকলে রুচি বাড়ে, মনও থাকে ফুরফুরে।
চলুন পাঠক জেনে নিই যে ৮ খাবারে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে-
শিমজাতীয় খাবার: এ জাতীয় খাবারে ম্যাগনেশিয়াম থাকে প্রচুর পরিমানে। ম্যাগনেশিয়াম মনকে সতেজ রাখে ও শরীরে বাড়তি শক্তির যোগান দেয়। আর তখন সুখের সান্নিধ্যটুকু পাওয়া যায়। ডায়েটেও এই খাবার খুব কার্যকরী।
শাকসবজি: শুধু মাছ-মাংস খেলেই হবে না, বরং প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজিও বেছে নিতে হবে। কারণ আয়রনের বড় উৎস হচ্ছে সবুজ খাবার। এটি আপনার কোষে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে। মন-মেজাজও ভালো রাখে।
টমেটো: এই খাবারে লাইকোপির নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান, যা মানুষের ফুসফুস ও কোষের প্রদাহ কমায়। মন রাখে উজ্জীবিত।
ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেট মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়। এটি খাওয়ার মুহূর্তেই মনে পুলক জাগায়। নিজেকে খুব ভারমুক্ত লাগে।
গরুর মাংস: বর্তমানে নানা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়। কিন্তু যেসব গরু সবুজ ঘাস খায়, সেসব গরুর মাংসে উচ্চ মাত্রার লাইনোলিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি মানুষের মানসিক চাপের হরমোন কমানোর সঙ্গে পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। এ ধরনের গরুর মাংসে কম চর্বি ও উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মানুষের মনে এনে দেয় সুখ।
শতমূলী: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শতমূলী বেশ কার্যকরী। কারণ এতে ট্রিপটোফেন নামে এক ধরনের উপাদান মানুষের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে। একইসঙ্গে শতমূলীতে থাকা উচ্চমাত্রার ফলেট হতাশাও দূর করে।
নারকেল: নারকেলে থাকা ট্রাইগ্লিসারাইড মানব মস্তিষ্ককে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করে। এটি মানুষের মেজাজের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। মানুষ তখন নিজের মধ্যে এক ধরনের সুখ অনুভব করে।
মধু: মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মধুর কার্যক্ষমতা জাদুকরী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হতাশা কমিয়ে মস্তিষ্ককে সতেজ ও ফুরফুরে রাখে। কম ক্যালরি থাকায় চিনির বিকল্প হতে পারে মধু।