বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এবার ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন ব্যারিস্টার সুমন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:২১ এএম, ১৭ জুন ২০১৯ সোমবার

ফেনীর মাদারাসার ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার আসামি সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতার হয়েছে। নিজের পরিচয় লুকাতে দাড়ি-গোঁফ বড় করে কৌশলে আদালত চত্বরে যাওয়ার চেষ্টার সময় রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুসরাতের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে তিনিই এ মামলা করেছিলেন।

রোববার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে তার ফেসবুক পেজে লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আইন অনুযায়ী তার ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নুসরাত হত্যার এই আলোচিত মামলার অন্যতম আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করছি।

 

তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি পুলিশ প্রশাসনকে, আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। ধন্যবাদ দিচ্ছি পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন), তারা তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছেন। এখন আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করবো।

একই সঙ্গে লাইভে তিনি দেশের সব অন্যায়ের প্রতি সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্যায় যেখানেই হোক, আপনি প্রতিবাদ করলে তা এক সময় বন্ধ হবেই। আমি সিলেটের মানুষ হয়েও ফেনীর ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করছি।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ১৬ জুনের মধ্যে গ্রেফতার না করলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করবেন। তবে রিট আবেদন করার আগেই গ্রেফতার হলেন আলোচিত ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানান, ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার বিষয়ে আগামীকাল (১৭ জুন, সোমবার) শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার দিন দশেক আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ওই সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

ওই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত ১৫ এপ্রিল বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার পর আদালতের নির্দেশে তা তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরোয়ানা জারির দু’দিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন।