বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুজনের পছন্দের পার্থক্য থাকলেও, সম্পর্কে ভালোবাসা বাড়বে এই উপায়ে!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৪৬ এএম, ১৭ জুন ২০১৯ সোমবার

নিজের সঙ্গী এবং নতুন জীবন নিয়ে সকলের মনেই একটা স্বপ্ন থাকে। তবে অনেকসয়মই মনের মিল হলেও দেখা যায় সঙ্গীর সঙ্গে নানা বিষয়ে পছন্দের পার্থক্য রয়েছে। পছন্দ সবার এক হয় না। দু’জন আলাদা মানুষের মধ্যে পছন্দের পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক ব্যাপারটাই মানতে পারে না অনেকেই। আর তখনই সৃষ্টি হয় মতবিরোধ। চলুন এই বিষয়টি জেনে নেয়া যাক আলোচনার মাধ্যমে-  

১. একজনের ব্যক্তিত্বই আকর্ষণ করে অন্য ব্যক্তিত্বকে। আপনার প্রিয় মানুষটির স্বাতন্ত্রর জন্যেই তো তাকে ভালবাসেন। সেই নিজস্বতাকে বাদ দিয়ে মানুষটিকে তো কল্পনাই করা যায় না। সেই জন্যে যাকে ভালবাসেন তার ভালমন্দ সব মিলিয়েই বাসুন। তবে তার মানে কিন্তু আপনার পছন্দ অপছন্দ বিসর্জন দেয়া নয়। নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দের সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা সম্পর্ক বজায় রাখার একটা প্রধান শর্ত। আপনার সঙ্গী যদি সেটা না বোঝেন, তা হলে একটু কৌশলী হওয়ার দায়িত্ব আপনার উপরেই বর্তাবে। তবে একটা মানুষকে বদলে ফেলার চেষ্টা করলে ভুল করবেন।

২. যখনই কোনও পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাববেন, তখন একবার সঙ্গীর মতামত নিন। ওঁর মতামতকে গুরুত্ব দিন। এভাবে যদি আপনি ওঁর পছন্দ-অপছন্দকে মেনে চলেন। তা হলে উনিও আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। ফলে নিজেদের মধ্যে অশান্তিও কমে যাবে।

৩. নিজেকে যথেষ্ট আপডেটেড রাখার চেষ্টা করুন। তা হলে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তার সপক্ষে যুক্তিটা ভাল করে সাজাতে পারবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য থাকলে অন্যকে মানাতে সুবিধে হবে।            

৪. নিজের পছন্দ-অপছন্দ কখনো জোর করে আপনার সঙ্গীর উপর চাপাবেন না। তাকে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করার স্বাধীনতা দিন। এরপর যদি উনি আপনার উপর কিছু চাপিয়ে দিতে যান, তা হলে নিজের উদারতার কথা মনে করিয়ে দিন।

৫. খাওয়া-দাওয়া, জামা-কাপড়, বেড়াতে যাওয়া, এইসব সিদ্ধান্ত সবসময় নিন সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে। তাহলে দুজনে মতামতই গুরুত্ব পাবে। একজন হুকুম করছেন, অন্যজন সেই হুকুম মেনে চলছেন, ব্যাপারটা যেন কখনই এরকম না হয়।  

৬. আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে ডমিনেট করতে চেষ্টা করেন, তাহলে তার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে না গিয়ে একটা ছোটখাট চুক্তি করে নিন। একে অন্যের কথা মেনে চলা এবং নিজের স্বাধীন মতামতের দিয়ে তৈরি করুন আপনাদের চুক্তির শর্ত। পুরো ব্যাপারটা সিরিয়াস পর্যায়ে টেনে না গিয়ে, একটা মজার আবহে রাখুন। এতে কাজ বেশি হবে।