‘টয়লেট’ বিভ্রাটে ঢাকার ট্রাফিক পুলিশ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ১৮ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার
জনস্বাস্থ্য খাতে দেশে অবিশ্বাস্য অগ্রগতি হলেও রাজধানীতে জনসংখ্যার তুলনায় বাড়েনি পাবলিক টয়লেট। এর ফলে পথচারীদের সঙ্গে অস্বস্তিতে পড়ছেন সারাদিন রাস্তায় থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। জরুরী প্রয়োজন মেটাতে যেতে হয় রাস্তার আশপাশের ভবনগুলোতে।
জানা গেছে, যানজট ও সড়কে নিরাপত্তা নিরসনে রাজধানীতে প্রায় ৫ হাজার ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন। তবে তাদের নিজস্ব কোনো টয়লেট বা শৌচাগার সুবিধা নেই। ডিউটিস্থলের আশপাশে অস্বস্তি নিয়েই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয় তাদের। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় দুই শতাধিক ট্রাফিক পুলিশের বক্স রয়েছে। আর সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাদের নিজস্ব কোনো শৌচাগার সুবিধা নেই।
শুলশান জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সাদ্দাম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ট্রাফিকদের নানান সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা হল কর্মস্থলের পাশে টয়লেট না থাকা। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
গুলশান ট্রাফিক বক্সের টিআই মাহবুব বলেন, ট্রাফিকদের শৌচাগার সমস্যা একটা বড় সমস্যা। শৌচাগার ব্যাবহারের জন্য আমাদেরকে বাইরের অফিসে যেতে হয়। যা লজ্জাকর ব্যাপার। জরুরি এটির সমাধান হওয়া উচিত।
রাজধানীর কাকরাইল পুলিশ বক্সে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কাজল রেখা বলেন, এটা একটা জটিল সমস্যা। যখন আমাদের প্রয়োজন হয় তখন আশপাশে সরকারি অনেক অফিস আছে সেখানে যেতে হয়। প্রথম অবস্থায় একটু সমস্যা হতো এখন অনেকটা সয়ে গেছে। বিষয়টি খুবই মানবিক। দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন।
মৎস ভবনের টিআই মো. আবু সিদ্দিক বলেন, ট্রাফিক বক্সে জায়গা না থাকার কারণে এই সংকট সমাধান হচ্ছে না। মাঝে শুনেছি সিটি কর্পোরেশন এই সমস্যাটা সমাধান করবে। এখনো তারা এটা করেনি। পরে আবার জানলাম ডিএমপি বিষয়টি সমাধান করবে।
জানতে চাইলে ট্রাফিকের এডিসি (প্রশাসন) অ্যাডমিন গোবিন্দো চন্দ্র পাল বলেন, আমরা ট্রাফিক টয়লেটের সমাধান চাই। প্রতিটি বক্সেই ট্রাফিকের টয়লেট থাকা উচিত। আমরা চাই সরকার যাতে দ্রুত এটার সমাধান করে দেয়।
রাজধানীতে পাবলিক টয়লেটের পর্যাপ্ত সংকট আছে জানিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সাবেক যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দীন আহমদ বলেন, ট্রাফিক সদস্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা আশপাশে টয়লেট ব্যবহারের জন্য যান, যা খুবই দৃষ্টি কটুর। দ্রুত এর সমাধান করা প্রয়োজন। সংকট নিরসনে কাজ চলছে জানিয়ে ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকতা বলেন, টয়লেট করার মতো জায়গা না পেলে কাজ করা সম্ভব হবেনা। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ডিএমপি কমিশনার স্যার বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছেন। আশা করছি এই সংকটের সমাধান হবে। তাছাড়া, বক্সলোতে তেমন জায়গা নেই। ট্রাফিক বক্সে যেখানে টয়লেট করা সম্ভব সেখানে টয়লেট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর ট্রাফিকের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়ন করার জন্য নারী এবং পুরুষ ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় এসব সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।