হকারমুক্ত ফুটপাতে স্বস্তি, উঠবস খেলা নয় স্থায়ীত্ব চায় নগরবাসী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার
নগরীর ব্যস্ততম সড়কের দু’পাশে সাধারণ পথচারীদের জন্য গড়ে উঠা ফুটপাতে সবাই নির্বিঘেœ চলাফেরা করবে এটাই সকলের কামনা।
অথচ নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ফুটপাতগুলোতে অস্থায়ী হকারদের দখলদারিত্বের কারণে অধিকাংশ পথচারীকেই হাঁটতে হতো মূল সড়কের পাশ দিয়ে! গত রমজানেও হকারদের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ ছিলো লক্ষণীয়।
কিন্তু নগরবাসীর এই দূর্ভোগ দূর করার জন্য নারায়ণগঞ্জ’র পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে গত ১৫ জুন দ্বিতীয় বারের মতো ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে আইণশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
তাই বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া থেকে সিটি করর্পোরেশন পর্যন্ত রাস্তার ডান ও বাম পাশের ফুটপাতগুলোতে হকারদের উপস্থিতি না থাকায় এখন স্বস্তি ফিরেছে জণমনে।
আজ সোমবার (১৭ই জুন) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চাষাঢ়া থেকে মন্ডলপাড়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়কের দু’পাশের ফুটপাত পুরোটাই হকারমুক্ত।
দুই নং রেলগেট থেকে ৫নং খেয়াঘাট পর্যন্ত যা, হকারদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিলো তাও দেখাযায় একেবারেই ফাঁকা! বিগত দিনগুলোতে নগরীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার জন্য যে সকল মানুষ ভোগান্তী হলেও হাঁটাচলার জন্য ফুটপাতকেই ব্যবহার করত; বহুদিন পর তাঁরা সেই ফুটপাত দিয়ে স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পেরে অনেক খুশি।
চাষাঢ়ার নূর মসজিদের সামনে এক পথচারী বলেন, এতদিনতো এই ফুটপাত দিয়ে হাঁটতেই পারতাম না। হাঁটতে হতো নিঁচের রাস্তা দিয়ে, যেই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করে।
কখনো দেখা যেত যে, হাঁটার সময় রিক্স্রার সাথে পা লেগে গেছে! তখন করারই বা কি ছিলো বলেন? ফুটপাত দিয়েতো আর হাঁটা যেতো না ফুটপাতে ছিলো হকারদের দোকান আর ক্রেতাদের ভীড়। তাই আমরা বাধ্য হয়েই মেইন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতাম।
আনসার মিয়া নামে এক রিক্সাচালক বলেন, হকারগো দোকানের জইন্য বেবাক মানুষ রাস্তায় নাইমা আইতো হাঁটার জইন্য। কিন্তু অহন আর কেউ রাস্তায় নামে না। সবাই উপর দিয়াই হাঁটে। খুব ভালো হইসে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, স্বাাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা বেশি প্রয়োজন। শুধু হকারদের উচ্ছেদ করলেই হবেনা ফুটপাত দখলমুক্ত করে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু সড়কে হকারদের এমন উঠবস খেলাতো কয়েক বারই হলো! এক দিকদিয়ে পুলিশ উঠিয়ে দিয়ে যায় অন্যদিক দিয়ে তাঁরা আবার চৌকি পেতে বসে পরে। এবারের উচ্ছেদের ধারাবাহিকতা দেখাযাক কদিন চলে।
তবে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, হকার’রা যাতে বসতে না পারে তাই বিভিন্ন জায়গাতে আমাদের এই মূহুর্তে প্রায় ৮০ জন পুলিশ দায়িত্বে রয়েছে।
যদি কোথাও কোন হকার বসে আমরা তাহলে সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো। এবং আমরা কোথাও কোন হকার বসতে দেবো না।
আমাদের মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশ। আর এখন মানুষ যেই ভাবে ভালোভাবে চলাফেরা করছে আশাকরি এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।