বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুরসির গায়েবানা জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার

মিসরে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুতে শোকাহত মুসলিম বিশ্বের নেতারা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও মুসলিম ব্রাদারহুড তাকে শহীদ আখ্যা দিয়ে তার রুহের মাগফিরতা কামনা করেছেন।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের প্রায় সব মসজিদেই অনুষ্ঠিত হয়েছে মুরসির গায়েবানা জানাজা। দেশটির ৮১টি প্রদেশে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেসব জানাজায় অংশগ্রহণ করতে লাখো লাখো মানুষের ঢল নামে। খবর ইয়েনি শাফাকের।

 

ইস্তাম্বুলের ফাতিহ মসজিদে অনুষ্ঠিত জানাজায় হাজার হাজার মুসল্লির সঙ্গে মুরসির একনিষ্ঠ সমর্থক তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান অংশগ্রহণ করেছেন।

এসময় এরদোগান মুরসির মৃত্যুর জন্য মিশরের অত্যাচারী শাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসিকে দায়ী করেন। তিনি মুরসিকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করেন।

এছাড়াও মুরসিকে তাড়াহুড়ো করে এবং গোপনীয়তার সঙ্গে কবর দেয়ার জন্য তিনি মিশরের কর্তৃত্ববাদী শাসকের ব্যাপক সমালোচনা করেন। এরদোয়ান বলেন, তারা এতোই কাপুরুষ যে মুরসির মরদেহও তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি।

পশ্চিমাদের সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করে এরদোয়ান বলেন, আমি পশ্চিমা দুনিয়া এবং মানবতার নিন্দা জানাচ্ছি। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার ক্ষমতাচ্যুতি এবং কারাগারে তার অত্যাচার তারা কেবলই দেখে গেছে।

 

সোমবার মিসরের একটি আদালতের এজলাসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দেশটিতে প্রথমবারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

এরপর কায়রোয় মুরসির পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে কবর দেয়া হয়। এসময় মিশরের সাধারণ জনগণকে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে সম্মান জানাতে দেয়া হয়নি।

মিসরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুরসি। টানা ১৮ দিনের গণআন্দোলনে মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। মোহাম্মদ মুরসি মুসলিমপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরের সারির নেতা ছিলেন।

তিনি ২০১২ সালে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে ক্ষমতার এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে মিসরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। মিসরের আদালত মুরসিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।