পরিবর্তিত তারিখে দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২০ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার
দেশে ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে বছরে ১২ লাখ মানুষ ৮টি প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হন।
পৃথিবীতে প্রতিবছর তামাকের কারণে ৭০ লাখ মানুষ অকালে মারা যান। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে বছরে ৯ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। বুধবার বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (যুগ্ম সচিব) মো. খায়রুল আলম শেখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বাবলু কুমার সাহা, অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মো. সাইদুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, বিশিষ্ট চিকিৎসক অরুপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।
টোব্যাকো এটলাস শিরোনামে আন্তর্জাতিক এক প্রকাশনার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন উভয়ই ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী। পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। প্রাণঘাতী এসব রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদী।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৯৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো এ দিবসটি উদযাপন করে আসছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে ২০ জুন (বৃহস্পতিবার)। প্রতিবছর ৩১ মে দিবসটি পালিত হলেও অনিবার্য কারণে তা পিছিয়ে ২০ জুন পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয়; সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়’।