দেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি ২০২০ সাল থেকে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৫০ এএম, ২১ জুন ২০১৯ শুক্রবার
বাংলাদেশ ২০২০ সাল থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়ন রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ শুরু হবে ২০২০ সাল থেকে। এই পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি অন্তত ৯ শতাংশ অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হবে। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ।
ড. শামসুল আলম গণমাধ্যমকে আরো বলেন, নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মাথায় রেখে করা হয়েছে। তবে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় প্রকল্পে স্বল্প ব্যয়ে বাস্তবায়নের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করার তাগিদ এসেছে।
‘ভিশন-২০২১, রূপকল্প -২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা - এসব নিয়েই সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা। যার প্রতিফলন থাকছে বাজেটে। নতুন অর্থবছরের বাজেটও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ধারাবাহিক বাজেট।’
পরিকল্পনা কমিশনের এই সদস্য বলেন, ভিশন ২০৪১ রূপকল্প আছে সেটি বাস্তবায়নে প্রথম পরিকল্পনা হলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। এই সময়ে আমরা চাইবো ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যেন অর্জন করে ফেলতে পারি।
চলতি অর্থবছরে শেষ হচ্ছে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার পার হচ্ছে চার বছর। দারিদ্র শূন্যে নামানো, ক্ষুধামুক্ত করা, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ জ্বালানি সুবিধা, বৈষম্য হ্রাস, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করাসহ এসডিজির ১৭ টি লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিনিয়োগ লাগবে ৯২৯ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭৫ লাখ কোটি টাকা।
বিদেশি ১০ শতাংশ আর সরকারি অর্থায়ন ৩৩ শতাংশ ধরে বাজেটের মাধ্যমে ব্যয়ের পরিকল্পনা সরকারের। এসডিজিতে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ছয় লাখ কোটি ডলার অতিরিক্ত সংস্থান কষ্টসাধ্য হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার চায় ব্যয় বাড়িয়ে টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সফল হতে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কৌশল নিয়েছি যাতে দারিদ্র দ্রুত কমে যায়। এটা এসডিজির এক নাম্বার লক্ষ্য। সেই সঙ্গে এমনভাবে কৌশল নিয়ে যাতে ক্ষুধা কমে যায়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাকি ৩ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকাই অনুন্নয়ন ব্যয়। যা মোট বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ।