লিপস্টিক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন কি?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ২১ জুন ২০১৯ শুক্রবার
আকষর্ণীয় লিপস্টিক মুখের লাব্যণতা ফুটিয়ে তুলে। আবার বেমানান লিপস্টিক পুরো সাজগোজকেই মাটি করে দিতে পারে। অনেক সময় লিপস্টিক ব্যবহারের পর রং দেখতে অন্য রকম দেখায়। আবার ঠোঁটের চামড়া উঠে আসা, ভিতরের দিকের অংশ সাদা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ টোটকা জানা থাকলে এই সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলা যায়। যেমন:
১. ঠোঁটে লিপস্টিক গাঢ় লাগাতে চাইলে অবশ্যই মুখ এবং চোখের মেইকআপ হালকা করতে হবে। অন্যদিকে চোখে গাঢ় মেকআপ করলে ঠোঁটে হালকা রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে।
২. ঠোঁটে লিপস্টিকের ময়েশ্চারাইজার এবং এতে ব্যবহৃত উপাদানের কারণে ঠোঁটে বাড়তি চকচকে ভাব থাকলে তা দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু ঠোঁটে মেটালিক বা জরির মতো ‘শিমার’ ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
৩. ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে লিপস্টিক বাছাই করা উচিত।
৪. লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। মেইকআপের শুরুতে যেমন ত্বকে প্রাইমার ব্যবহার করতে হয় একইভাবে ঠোঁটেও প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। এতে লিপস্টিকের রং ফুটে উঠবে এবং অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে।
৫. ঠোঁটের গঠন নিখুঁত করে তুলতে লিপ লাইনার ব্যবহার বেশ জরুরি। ঠোঁট মোটা বা চিকন দেখানোর জন্য লিপ লাইনার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. ঠোঁটের মাঝখান থেকে লিপস্টিক লাগানো শুরু করতে হবে। এতে লিপস্টিক ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে।
৭. ঠোঁটের চারপাশের রেখা বেশি নিখুঁত হলে দেখতে অস্বাভাবিক লাগতে পারে। চারপাশে খানিকটা হালকা করে নিলে দেখতে ভালো দেখাবে।
৮. গাঢ় লিপস্টিক ব্যবহারের পর ঠোঁটে একটি টিস্যু হালকা করে চেপে ধরে আবার দ্বিতীয় পরত লিপস্টিক লাগাতে হবে। টিস্যু চেপে ধরার ফলে অতিরিক্ত তেল বা বাড়তি লিপস্টিক উঠে আসবে।
৯. ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেমন মেইকআপ পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ একইভাবে ঠোঁট থেকে পুরোপুরি লিপস্টিক উঠিয়ে তবেই ঘুমাতে যেতে হবে।