অবিশ্বাস্য ভূতুরে মেঘে ছেয়ে গেল আকাশ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:১২ পিএম, ২১ জুন ২০১৯ শুক্রবার
মেঘ যেমন মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করে ঠিক তেমনি রোমাঞ্চিত হওয়ার স্বভাব মানুষের পুরনো। আবার মেঘ নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক গান আর কবিতা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ আপনার মাথার উপরে থাকা মেঘ যদি ভূতুরে হয়ে যায় তাহলে খানিকটা চমকে যাবেন নিশ্চই? গত ১০ জুন অবিশ্বাস্য ভূতুরে মেঘে ছেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার আকাশ।
অ্যাসপিরেটাস নামের এই মেঘ আকাশে ঘনীভূত হলে আপনার চোখে পড়বে একাধিক ঢেউ এর সমষ্টি। মনে হবে একাধিক ঢেউ যেন খেলে বেড়াচ্ছে গোটা আকাশ জুড়ে। তখন আপনার মনে হবে আকাশটা বুঝি অনেক কাছে নেমে এসেছে। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে।
মেলবোর্নের পাশের এলাকা মার্টলফোর্ডে এমন চিত্র ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। পড়ন্ত বিকেলে গাড়িতে করে ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন পল ম্যাকুলি নামের এক ব্যক্তি। আচমকা আকাশে নজর পড়তেই হকচকিয়ে যান তিনি। তার ভাষায়, আকাশটাকে বড় একটা পুকুর বা সমুদ্রের একটা অংশের মত লাগছিল। যেখানে তৈরি হচ্ছে একাধিক ঢেউ। তারা আছড়ে পড়ছে একে অন্যের ঘাড়ে। কিন্তু খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছে।
তিনি তৎক্ষনাৎ ওমন মেঘের ছবি তোলেন। ম্যাকুলি বলছিলেন, এ এক অনন্য নজির। নিজের চোখে কেউ না দেখলে এটা বিশ্বাসই করবে না।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন মেঘের নাম অ্যাসপেরিটাস ক্লাউড। আন্তর্জাতিক ক্লাউড অ্যাটলাস জানিয়েছে, লাতিন শব্দ থেকে এই মেঘের নামকরণ করা হয়েছে।
মূলত ঢেউয়ের মতো গঠন এসব মেঘের। খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করাই হলো এর মূল বৈশিষ্ট্য। এই ধরনের মেঘ গত দশকে খুব বেশি দেখা না গেলেও ২০১৭ সালের আগে এসব মেঘকে মেঘসমষ্টি হিসেবে ধরাই হত না।
এ ধরনের মেঘপুঞ্জ এখন প্রায়ই দেখা যায়। তাই বিজ্ঞানীরা নতুন করে এটি নিয়ে চিন্তা করেছেন। ক্লাউড অ্যাপ্রিসিয়েশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী গ্যাভিন প্রেটোর প্রথম এই মেঘ নিয়ে লেখা শুরু করেন। তিনি এর নাম দেন অ্যাসপেরিটাস ক্লাউড।