বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খিদে মেটাতে অফিসে কী খাবেন?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার

দিনের বেশিরভাগ সময়ই কর্মজীবিরা কর্মস্থলে কাটিয়ে থাকেন। কাজ করতে গিয়ে খিদে মেটাতে কত কিছুই না খেয়ে থাকি আমরা। এতে শুধু খিদে নিবারণই হয় না, ক্লান্তি ও বিরক্তিভাবও কাটানো সহজ হয়। অনেকেই ব্যাগের মধ্যে চিপসের মতো প্যাকেটজাত খাবার রাখেন। কাজের অবসরে এ রকম টুকটাক কিছু খেতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু তা কতটুকু স্বাস্থ্যকর?

চিপস, চকলেট, সোডা ক্যান অবশ্যই লোভনীয়, তবে কাজের চাপের সময় এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় বলে চিকিৎসকদের মত। জাঙ্ক ফুড অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অফিসেই সেটা খুব সহজে ঢুকে পড়ে। আমরাও সচরাচর এ ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করি। তাহলে কর্মস্থলে কী খাবেন, তা নিয়ে কিছু পরামর্শ-

১. স্বাভাবিকভাবেই দুপুরের খাবার অফিসেই খেতে হয় আমাদের। এর ফাঁকে ক্ষুধা নিবারণের জন্য স্ন্যাকসের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে খেতে পারেন বাদাম জাতীয় খাবার। এ ছাড়া ফলমূল এবং মিষ্টিজাতীয় যেমন দই খাওয়া যায়।  

২. কর্মস্থলে বেশি বেশি পানি খান। পরিশ্রমের ফাঁকে এটি বেশ কাজ দেয়। এ ছাড়া পানি পানের ফলে দিনে অন্তত ৫০ ক্যালরি মেদ ঝরানো সম্ভব। অফিসে থাকা অবস্থায় অন্তত দুই বোতল পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. নিজের অফিস ডেস্কে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রতি ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ২ মিনিট হাঁটতেই হবে। অনেকে কাজের চাপে টানা অনেকক্ষণ ডেস্ক থেকে উঠতে পারেন না। ফলে খাবারের সময়টি কাজে লাগান একটু হেঁটে আসার জন্য।

৪. মিন্ট শুধুমাত্র খারাপ নিশ্বাস কাটাতেই সহায়তা করে না, ক্ষুধা দমনও করে। চিনি পরিহার করতে চাইলে মিষ্টিজাতীয় ছাড়াও মিন্ট দোকানে পাওয়া যায়।

৫. অনেকেই স্ন্যাকস দিয়েই দুপুরের খাবার সারতে চান। দুপুরে স্বাভাবিক খাবারই খাওয়ার চেষ্টা করুন। খুব ভারী কিছু না, যার ফলে দুপুরের পর কাজ করতে ক্লান্তি লাগে।

৬. কাজের ফাঁকে অনেকেই কোমল পানীয় পান করতে পছন্দ করেন। তবে স্বাস্থ্যের জন্য বরাবরই এটি ভালো নয়। পানীয় হিসাবে চা বা কফি খেতে পারেন।