ডিমের খোসার আশ্চর্য উপকারিতা!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার
ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি একটি খাবার। রান্না, সেদ্ধ বা ভেঁজেও খাওয়া হয় ডিম। এটি অনেক পুষ্টিকরও। কিন্তু ডিম খাওয়া হলেও ফেলে দেয়া হয় এর খোসা। যা কোনো কাজে আসে না বলেই সবার ধারণা। কিন্তু জানেন কি, ডিমের খোসা নানা কাজে ব্যবহার করা যায়। যা অনেক উপকারিও। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর উপকারিতাগুলো-
১. গাঁটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন কমাতে একটি পাত্রে আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভালো করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন রেখে দিলে দেখা যাবে ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে চাপ দিয়ে মালিশ করুন। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনেগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. ফুলের বাগানে বার বর পোকার উপদ্রবে গাছ নষ্ট হয়। গাছের গোড়ায় গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকা-মাকড় গাছের ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।
৩. কফির তিক্ত ভাব কমাতে কফির সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়ো এক চিমটি মিশিয়ে দিন। কফি গুলিয়ে নেয়ার পর একটু সময় দিন। ডিমের খোসার গুঁড়ো থিতিয়ে নিচে পড়ে যাবে আর কফির তিক্ত স্বাদও অনেকটাই কমে যাবে।
৪. ১টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে একটি বা দুটি ডিমের খোসা ভালো করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এবার ওই প্যাক মুখে ১৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচেভাব কেটে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত! এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।