‘ঘি’ এর অসাধারণ উপকারিতাগুলো জানেন কি?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার

ঘি খাবারে সুন্দর ঘ্রাণ ছড়ায়, ফলে খাওয়ার আগ্রহ আরো দিগুণ হয়ে যায়। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন বা ওজন সচেতন যারা, তারা মনে করেন ঘি মেদ বৃদ্ধি করে। তবে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। বরং ঘি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘি শারীরিক অনেক উপকার করে। চলুন জেনে নেয়া যাক এই সম্পর্কে-
১. ঘি পোড়া ক্ষত সারাতে কাজ করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আছে ঘি খেলে মস্তিষ্কের ধার বাড়ে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
২. এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে।
৩. সুন্দর গন্ধ ও স্বাদ অথচ অধিকাংশ দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো ঘি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৪. ভিটামিন এ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো। এটি চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গ্লুকোমা রোগীদের জন্য বেশ উপকারি।
৫. এতে কনজুগেটেড লিনোলেক অ্যাসিড থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ডেলিভারির পর নতুন মায়েদের ঘি খাওয়ানো হয় এই কারণেই।
৬. ঘিয়ের মধ্যে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড খুব এনার্জি বাড়ায়। অধিকাংশ অ্যাথলিট দৌড়নোর আগে ঘি খান। এর ফলে ওজনও কমে।
৭. ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে বাটাইরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৮. এর মধ্যে থাকা বাটইরিক অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৯. হজম ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে ঘি খিদে বাড়ায় এবং ঘি খেলে যে হরমোন নিঃসরণ হয়, এতে শরীরের সন্ধিগুলো ঠিক থাকে।
১০. বহু প্রাচীন কাল থেকেই ঘি পজিটিভ ফুড হিসেবে পরিচিত। আধুনিক গবেষণাও বলছে ঘি খেলে পজিটিভিটি বাড়ে। কনশাসনেস উন্নত হয়।