নৌ যাতায়াত ব্যবস্থা সম্প্রসারণে নৌপথ পুনর্খনন শুরু
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৪৬ এএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার
দেশের নৌ যাতায়াত ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সারাদেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনর্খনন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি জানান, ১৭৮টি নদীর ১০ হাজার কিলোমিটার খননের পাশাপাশি নৌপথ রক্ষার্থে নদী কমিশন গঠনসহ নদী দখল, দূষণ রোধে উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রোববার প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান।
সরকারি দলের সদস্য এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদী আমাদের প্রাণ, জীবন ও জীবিকার উৎস। ১৯৬০ সালের আগে দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু কালক্রমে নৌপথ সংকুচিত হয়ে তা ৬ হাজার কিলোমিটারে নেমে আসে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে এক হাজার ৬শ’ কিলোমিটার নৌপথ খনন করে। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে নৌপথের দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৬শ’ কিলোমিটার।
সরকারি দলের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর তীর থেকে প্রায় ১২ হাজার ৩৯৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৩৭২ দশমিক ১২ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরভূমি থেকে প্রায় দুই হাজার ৭৭৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১৯৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, উচ্ছেদের পর পুনর্দখল রোধে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয় তীরে ওয়াকওয়ে, আরসিসি স্টেপস, বসার বেঞ্চ, ইকোপার্ক নির্মাণ, নদীর পাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, নিরাপদ নৌ-চলাচল ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপথের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ৬টি ভেসেল স্টর্ম শেল্টারস নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।