ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে হজ পালনের ব্যয় কম
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:০৭ এএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের হজ পালনে নির্ধারিত ব্যয় পার্শ্ববর্তী ভারতের মুসলমানদের ধার্য্যকৃত ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ তথ্যটি সঠিক নয়। বরং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে হজ পালনে ব্যয় বাংলাদেশে কম।
রোববার হাজী মো. সেলিমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকারের সভাপতিত্বে বিকেলে এ অধিবেশন শুরু হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী আমাদের পর্শ্ববর্তী ভারতের মুসলমানদের সরকারি ব্যবস্থাপনার হজ যাত্রীর ব্যয় ছিল অঞ্চলভেদে ২ লাখ ৪৬ হাজার থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা। একইসঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৪-৫ লাখ রুপি। অথচ ওই বছরে বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-বি এর হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-এ এর ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। এখানের হজযাত্রীদের ব্যয় আরো কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০১৯ সালে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি না করে ১০,১৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
মো. মোজাফফর হোসের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, প্রতি বছরই পবিত্র হজ গমন ইচ্ছুকদের অনেকে বিমানের টিকিট না পাওয়ায় ফিরিয়ে যেতে হয় কথাটি সঠিক নয়। ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সব হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তবে ২০১৭ সালে এ ধরণের অনিয়মের কারণে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ আগামী ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জঙ্গিবাদী চিন্তা থেকে ছাত্র ও যুবসমাজকে মুক্ত রাখতে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৭ দফতর ও সংস্থার মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, পৃথকভাবে উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হবে না।
মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কে এম খালিদ বলেন, ভবিষত প্রজন্মকে গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই মন্ত্রণালয় একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণার ওপর দশটি শিরোনামের মোট ৭০০ বই ক্রয় করে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগামীর প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।