জ্যাকসন কি সত্যিই ‘শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত’ ছিলেন?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার
কথায় বলে চাঁদেরও 'কলঙ্ক' আছে। চাঁদের অন্ধকার দিককে বোঝাতে এ কথাটি প্রচলিত হয়। কিন্তু ‘পপ কিং’ মাইকেল জ্যাকসনের? তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে! বেঁচে থাকতে বর্ণাঢ্য জীবনে অনেক ঘটনারই জন্ম দিয়েছিলেন প্রতিভাবান এই শিল্পী। এরমধ্যে ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়ও ছিল।
‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসন কি সত্যিই ‘শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত’ ছিলেন? প্রশ্নটা অনেকেরই। মাইকেল মারা যাওয়ার পর তার বাড়ির গৃহপরিচালিকা, স্বজন ও বন্ধুরা তাকে নিয়ে নানা নতুন নতুন তথ্য ফাঁস করে। এই তথ্যগুলোর কোনোটি বিস্মিত করেছে, কোনোটি বিষাদে মন পুড়িয়েছে ভক্তদের।
তাদের বয়ানে জানা যায়, মাইকেল ব্যক্তি জীবনে খুবই নিঃসঙ্গ ছিলেন। খুব বেশি মানুষের সঙ্গে মিশতেন না। কেউই পূর্বানুমতি ছাড়া তার বাড়িতে ঢুকতে পারত না। খুবই এলোমেলো জীবনযাপনে অভ্যস্থ ছিলেন জ্যাকসন। ঠিকমতো খেতেন না। ঘুম তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সারা রাত মাদকে আসক্ত থাকতেন। কড়া ঘুমের ওষুধেও তার ঘুম আসত না। যে কারণে ঘুমের ওষুধে আসক্ত হতে শুরু করেন। এই অসহনীয় জীবন আরো কষ্টকর ছিল শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে প্রমাণ মেলার পর। রাতে না ঘুমিয়ে ঘর ছেড়ে বাড়ির বারান্দায় শুয়ে কাঁদতেন।
রাডার অনলাইন নামের এক এন্টারটেনমেন্ট ম্যাগাজিনের মতে, দৃশ্যত মাইকেল জ্যাকসনের কাছে ‘অন্ধকার দিকের’ এক বিশাল সংগ্রহ ছিল। এরমধ্যে অন্যতম ছিল পর্নোগ্রাফি, জীবজন্তুদের উপর নিপীড়ন, স্যাডো-ম্যাসোকিজম আর শিশুদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মিডিয়া! এই সব নথিপত্র নাকি ২০০৫ সালে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু নিপীড়ন মামলার শুনানিতে পেশ করা হয়েছিল৷ পরে সেই নথিপত্র আর প্রকাশ করা হয়নি৷
পুলিশ বিভাগের এক তদন্তকারী নাকি রাডার অনলাইনকে বলেছেন যে, ‘এই নথিপত্র থেকে জ্যাকসনের এক অন্ধকার ও ভীতিকর ছবি ফুটে ওঠে৷ এই সব নথিপত্র জ্যাকসনকে একজন সুনিপুণ, মাদক ও যৌনতায় আসক্ত শিকারি হিসেবে তুলে ধরে, যিনি পশুহত্যার রক্তাক্ত, যৌন উদ্দীপনাময় ছবি ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিকৃত যৌন সম্পর্কের ছবি দেখিয়ে শিশুদের নিজের বশে আনতেন।’
২০০৩ সালে মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সে বছর পুলিশ তার ক্যালিফোর্নিয়ার খামারবাড়ি ‘নেভারল্যান্ড’-এ তল্লাশি চালায়। খামারবাড়িটির নামানুসারে তথ্যচিত্রের নামকরণ করা হয়েছে। জ্যাকসনের তত্ত্বাবধায়কদের দাবি, তথ্যচিত্রে ওয়েড রবসন ও জেমস সেফচাককেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, জ্যাকসনের ঘনিষ্ঠরা সেখানে উপেক্ষিত। তথ্যচিত্রটি একপেশে। জ্যাকসন কখনোই শিশুদের সঙ্গে বাজে আচরণ করতেন না