বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

থাইল্যান্ড-ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ এএম, ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার

শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড ও ব্রুনাই দারুসসালামের সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার বিকেলে ওই দুই দেশের রাষ্ট্রদূতদ্বয় নিজ নিজ দেশের হয়ে পরিচয় তুলে ধরতে বঙ্গভবনে গেলে তিনি এ সহযোগিতা চান

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, থাইল্যান্ড, ব্রুনাই দারুসসালাম ও মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের সংগঠন আশিয়ানের সদস্য। তাই, শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উভয় দেশ (থাইল্যান্ড ও ব্রুনাই দারুসালম) তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরুং ফোথং হামফ্রেইস ও ব্রুনাই দারুসালামের হাইকমিশনার হাজী হ্যারিস বিন ওথম্যান নিজ নিজ পরিচয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রদূতদ্বয়কে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক শুরু। তার পর থকে দু’দেশের সম্পর্ক দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দুই দেশের সঙ্গে বর্তমান বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দু’দেশের সঙ্গে ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির আরো অনেক সুযোগ রয়েছে।

দু’দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ থাই রাষ্ট্রদূতকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

এছাড়াও আশিয়ানের বর্তমান সভাপতি রাষ্ট্র থাইল্যান্ডকে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

ব্রুনাই দারুসসালাম হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দু’দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ব্রুনাই দারুসসালামে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ব্রুনাই দারুসসালাম কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। জবাবে রাষ্ট্রদূতদ্বয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তাদের সহয়তার হাত বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।