নতুন শিল্পীরা শুধু টাকা উপাজের্নর জন্য এসেছে
নিউজ ডেক্স
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:৩৮ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খলঅভিনেতা মিশা সওদাগর। তিন দশকেরও বেশি সময় চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সম্প্রতি শুটিং শেষ করেছেন শামীম আহম্মেদ রনী’র ‘শাহেনশাহ’ ছবিতে। বতর্মানে তিনি পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে
বতর্মান ব্যস্ততা...
শামীম আহম্মেদ রনী’র ‘শাহেনশাহ’ ছবি ছাড়াও আরও একাধিক ছবিতে কাজ শেষ করেছি। আমার বড় ছেলে আমেরিকাতেই থাকেন। মূলত তাকে দেখতেই এখানে আসা। অন্যদিকে সফিক হাসানের ‘বাহাদুরী’, বদিউল আলম খোকনের ‘অন্ধকার জগৎ’, ‘আমার মা, আমার বেহেস্ত’ ও শামীমুল ইসলাম শামীমের ‘আমার প্রেম, আমার প্রিয়া’ ছবিগুলোর কাজ শেষ করেছি। এসব ছবিতে আমার সহশিল্পী রয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, সাইমন ও কায়েস আরজু। ছবিগুলো নতুন বছরেই মুক্তি পাবে। এ ছাড়াও ছুটি কাটিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারীতে দেশে ফিরব।
চলচ্চিত্রের চলমান অবস্থা...
খুব শিগগিরই আমাদের এই সমস্যা দূর হবে। বতর্মানে অনেকেই নিবার্চন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে নিবার্চনের জন্য অনেকেই হয়তো কোনো কাজে হাত দিচ্ছেন না। অন্যদিকে সরকারিভাবে আমাদের কাছে ইতিমধ্যে ডিজিটাল মেশিন ও পদার্ চলে এসেছে। নতুন বছর আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য খুবই মঙ্গলের। তবে চিত্রজগতের কিছু অসফল মানুষ সবসময়ই হতাশায় ভোগেন। ছবি হচ্ছে না, ছবি চলছে না বলে মন্তব্য করেন।
চলচ্চিত্রে লগ্নি ...
আমি আগেও বলেছিলাম চলচ্চিত্রের প্রাণ হলো প্রযোজক। আমি মনে করি দেশীয় প্রযোজক বাঁচলেই চলচ্চিত্র বাঁচবে। তাই বতর্মানে চলচ্চিত্রের স্বাথের্ প্রযোজকদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। এবার সরকারও আমাদের দিকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছে। তারা অথর্লগ্নি করলেই আবার দেশীয় চলচ্চিত্র আগের মতো চাঙ্গা হয়ে উঠবে। পাশাপাশি প্রতিটি চলচ্চিত্রপ্রেমীর প্রেক্ষাগৃহে এসে ছবি দেখতে হবে।
চলচ্চিত্রের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি...
দীঘর্ ক্যারিয়ারে যশ, খ্যাতি আর সম্মান অনেক অজর্ন করেছি। দেশ বিদেশে ঘুরতে গেলে বুঝতে পারি আমাদের বিদেশি ভক্তদের দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রতি কতটা আগ্রহ। আবার বতর্মান সময়ে আমাকে সবাই ভোট দিয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি বানিয়েছেন। এর চেয়ে আর বড় প্রাপ্তি কী হতে পারে? তবে বতর্মানে চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য ভালো চরিত্রের জন্য মা শিল্পী নেই, কৌতুক শিল্পী নেই, খলঅভিনেতা শিল্পী নেই। আমার মনে হয় এখনকার নতুন শিল্পীরা শুধু টাকা উপাজের্নর জন্য এসেছে। তাদের চলচ্চিত্রের প্রতি প্রেম নেই। দুঃখের বিষয়, এরা কাজের কাজ তো কিছুই বোঝে না। একটি-দুটি কাজ করে নিজের আগে পিছে নায়ক আর নায়িকা তকমা লাগিয়ে দিচ্ছে। বিষয়গুলো খুব বিরক্তিকর। এভাবে হলে তো চলবে না। কাজ করে নিজের জায়গাটি ঠিক করতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা...
যতদিন বাঁচব ঠিক ততদিন চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে যাব। তবে আমাদের প্রতিটি সিনেমাপ্রেমী দশের্কর সঙ্গে থাকতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি ছবি বজর্ন করতে হবে। সবাই আমার পরিবার-পরিজনের জন্য অনেক দোয়া করবেন। যেন আমরা সুস্থ সুন্দর থাকতে পারি। আমাদের আত্মীয়স্বজনরাও আমেরিকা প্রবাসী হলেও আমি দেশে থেকে যাব। কারণ আমার ধমনীতে বাংলাদেশের রক্ত বইছে।