রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৬ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

শিগগিরই বাঙালি বিজ্ঞানীর কৃত্রিম কিডনি বাজারে আসছে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার

এবার এক বাঙালি বিজ্ঞানী সাশ্রয়ী মূল্যে কৃত্রিম কিডনি তৈরি করেছেন। এই কৃত্রিম কিডনির উদ্ভাবক শুভ রায়ের মতে, খুব শিগগিরই বাজারে আসছে এই কিডনি।
  
তিনি বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে বর্তমানে যে খরচ হয়, এবার তার থেকে অনেক কম খরচেই মানুষ কিডনীজনিত সমস্যাগুলো থেকে সহজে মুক্তি পাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষেক ১৯৬৯ সালের নভেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পড়াশোনা যুক্তরাষ্ট্রে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রকল্পে তিনি এই কিডনি তৈরি করেছেন। এর নাম কিডনী প্রজেক্ট। শুভ রায়ের সঙ্গে এই আবিস্কারে আরো ছিলেন নেফ্রোলজিষ্ট উইলিয়াম এইচ ফিসেল। 

 

এদিকে এরই মধ্যে কৃত্রিম এই কিডনী যুক্তরাষ্ট্রের বহু কিডনী বিকল রোগীর শরীরে স্থাপন করা হয়েছে। যার আকার হাতের মুঠোর সমান। খরচ তুলনামূলক অনেক কম।  

প্রসঙ্গত, দুটি কিডনি বিকল হলে শরীরে রক্ত শোধনে ঘাটতি দেখা দেয়। শরীরে বিষাক্ত বর্জ্য জমে রক্ত দূষিত হয়। বর্তমানে এই সমস্যা সমাধানের জন্য ডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে রক্ত শোধন করা হয়। এজন্য রোগীকে একাধিক দিন হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। শুধু তাই নয়, ডায়ালিসিস চলাকালীন বা পরে অধিকাংশ রোগী ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশনে ভোগেন। যা সমস্যা আরও জটিল করে তোলে। 

এছাড়া বিকল কিডনির বদলে রোগীর দেহে সুস্থ কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়ে থাকে। তবে তা সহজলভ্য নয় এবং খরচ সাপেক্ষ। এই সব সমস্যার সমাধানেই বাজারে আসছে কৃত্রিম কিডনি। যা স্বাভাবিক কিডনির সব কাজ করতে সক্ষম।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং এই যন্ত্রের সহ-আবিষ্কারক শুভ রায় জানিয়েছেন, চলতি দশকের শেষ অথবা নয়া দশকের গোড়ায় বাজারে পাওয়া যাবে এটি। আমেরিকায় তৈরি এই যন্ত্র আপাতত সে দেশের কয়েক হাজার রোগীর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে।

 

শারীরিক সুরক্ষা ও সর্বাঙ্গীন সাফল্যের পরীক্ষায় পাস করলে তা বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক এফডিএ। 

এটির কার্যক্ষমতা বিষয়ে শুভ রায় জানান, যন্ত্রটি সহজের পেটের ভিতরে স্থাপন করা যায়। স্বাভাবিক কিডনির মতো রক্ত শোধন করা ছাড়াও হরমোন উৎপাদন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। 

সাধারণ কৃত্রিম কিডনি হিমোডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার মতো রক্ত থেকে বিষাক্ত বর্জ্য বাদ দেয়া ছাড়াও জীবন্ত কিডনি কোষ দিয়ে তৈরি বায়ো রিঅ্যাক্টর এবং সূক্ষ্ণ পর্দার মাধ্যমে রক্ত শোধনের কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে।

দেশটিতে ডায়ালিসিস ছাড়াও ৬০ হাজারের বেশি মানুষ কিডনিতে পাথর এবং মূত্রাশয়ের চিকিৎসা করিয়েছেন। কৃত্রিম কিডনির সঠিক খরচের হিসাব এখনই না বললেও শুভ রায়ের দাবি, ডায়ালিসিস ও কিডনি প্রতিস্থাপনের চেয়ে অনেক কম খরচে বসানো যাবে কৃত্রিম এই কিডনি।