রোহিঙ্গাদের কারণে নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর
নিউজ ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৫৭ এএম, ২৭ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে না পারলে আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের এসব নাগরিক এখানে স্বেচ্ছায় আসেননি। সে দেশের সেনাবাহিনী তাদের জোর করে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার এসব মানুষের খাদ্য, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এজন্য আমরা তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও স্থানীয় এনজিওর সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিপুলসংখ্যক নাগরিককে আমরা আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদান করছি।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারে মৌলিক অধিকারবঞ্চিত এই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা অধিবাসীরা অসন্তুষ্টিতে ভুগছে। তাদের রয়েছে অনেক অভাব-অভিযোগ। তাদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে না পারলে আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, রাখাইন রাজ্যে যথাযথ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বার বার বিভিন্ন ফোরামে বলেছি যে, এসব বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার জনগণকে ফেরত নেয়ার বিষয়টি মিয়ানমার সরকারের ওপর বর্তায় এবং তাদেরই উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মিয়ানমার সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
‘উপরন্তু মিয়ানমার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে এবং বলছে, বাংলাদেশের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব জনমত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অব্যাহতভাবে আমাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তাদের এ বিষয়ে কাজ করতে দিচ্ছে না। মিয়ানমারের অসহযোগিতা সত্ত্বেও আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক দুটি পথই খোলা রেখেছি।