বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘দেড় কোটি কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:২৬ এএম, ২৮ জুন ২০১৯ শুক্রবার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশ-বিদেশে দেড় কোটি কর্মসংস্থান তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রতিবছর ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দুই দিনের জব ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, দেশে এখনো ৪০ শতাংশ বেকার, এ কারণে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সু-সংবাদ হচ্ছে, আমরা ডেমোগ্রাফিক সময় পার করছি। আমরা যদি অদক্ষদের দক্ষতায় রূপান্তর করতে পারি, তবে তারাই আমাদের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে।

 

তিনি বলেন, দেশের যুবকদের দক্ষতা তৈরিতে গত পাঁচ বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এরমধ্যে আইসিটি প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা ও স্কুল-কলেজে উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সরকার আইসিটি খাতে প্রতি বছর দুই লাখ মানুষের অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। তাদের অনেকে দেশের বাইরেও ভালো চাকরির সুযোগ পাচ্ছে। অনেকে আবার নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের চাকরির সুযোগ দিচ্ছে। উদ্যোক্তাদের সরকারিভাবে ঋণ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

ড. আব্দুল মোমেন বলেন, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকদের একটি দায়িত্ব হল তাদের শিক্ষার্থীরা যেন মানসস্মত চাকরি পায় সে ব্যবস্থা করা। যারা ভালো চাকরি পায় সেটা কেবল তাদের জন্য নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা দেশের জন্য অবদান রাখে। আমরা যদি যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে পারি, তবে যুবসমাজকে কেবল দেশে চাকরি খুঁজতে হবে না, বরং তারা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে।

দুই দিনের জব ফেয়ারে মোট ১০৩ টি কোম্পানি যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিতে অংশগ্রহণ করছেন। এসব কোম্পানির পক্ষ থেকে চাকরি প্রত্যাশীদের সিভি নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কোনো কোনো কোম্পানি প্রাথমিকভাবে প্রার্থী যাচাই-বাছাই কাজও সম্পূর্ণ করছেন বলে জানা গেছে।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চাং, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অফ স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক দিলারা আফরোজ খান রুপা, রেজিস্টার লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মো. ফয়জুল ইসলাম, এনবিআর জবস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব-এ-ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ।