জয়ের মুখ দেখলেও শ্রীলঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ডুবল দক্ষিণ আফ্রিকা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৬ এএম, ২৯ জুন ২০১৯ শনিবার
নিজেরাতো ডুবইল সঙ্গে ডুবালো শ্রীলঙ্কাকেও। বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকে ছিলে শ্রীলংকার। শুক্রবার আফ্রিকার বিপক্ষে জিতলে সেমির আশা আরও জোরালো হতো ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী লংকানদের।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিল শ্রীলংকা। আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর চতুর্থ দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল শ্রীলংকা।
শুক্রবার ইংল্যান্ডের চেস্টার লে স্ট্রিটের রিভারসাইড গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ডোয়েন পিটোরিয়াস এবং ক্রিস মরিসের গতির মুখে পড়ে ৪৯.৩ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলকা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসিরের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৭৬ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
লংকানদের বিপক্ষে মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩১ রানে লাসিথ মালিঙ্গার গতির শিকার হয়ে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকে সঙ্গে নিয়ে ১৭৩ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন হাশিম আমলা।
দলের জয়ে ১০৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৮০ রান করেন আমলা। এছাড়া ১০৩ বলে ১০ টি চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস। এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় শ্রীলংকা। ডোয়েন পিটোরিয়াস-ক্রিস মরিসে ও কাগিসো রাবাদার গতির মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি দিমুথ করুনারত্নে, অভিষেক ফার্নান্দো, কুশল পেরেরা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দলীয় ২১.৫ ওভারে ১০০ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর শেষ দিকে কুশল মেন্ডিস, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ও থিসেরা পেরেরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি।
তবে জীবন মেন্ডিস ও ইসুর উদানের ছোট এবং কার্যকরী ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২০৩ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলংকা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন পিটোরিয়াস ও ক্রিস মরিস।