শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আম কতটুকু খাবেন, চিকিৎসকরা কী বলেন?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ২৯ জুন ২০১৯ শনিবার

অনেকের মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু ফল। আবার কেউ বলে থাকেন মিষ্টি রসালো ফল। যে যা-ই বলুক তবে আমের নাম শুনেই জিভে জল আসে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কেউ মেপে খায়। কেউ পেলেই যখন তখন খায়। কিন্তু যত খুশি খাওয়া কি ঠিক?

আম পুরুষ না নারী, এই বিতর্ক এখন অবান্তর। তবে ফলের রাজা। শুধু স্বাদের গুণের জন্যই রাজা নয়, অন্য গুণও রয়েছে। উপকারেও কোনো ফলের তুলনায় কম যায় না আম। আর আমের মতো এত প্রজাতি অন্য ফলে কম দেখা যায়। প্রত্যেক প্রকার আমের আবার আলাদা আলাদা স্বাদ, গন্ধ রয়েছে।

কাঁচা আম রান্না করে খেতেও অতুলনীয়, আর মধুময় পাকা আম স্বাদে তো অতুলনীয়। এবার দেখে নেয়া যাক এমন সুস্বাদু ফলের কী কী গুণাগুণ রয়েছে—

 

* আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন সহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধে সহায়ক আম। এতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইমও থাকে।

* কোলেস্টোরল কমাতে সাহায্য করে আম। এতে রয়েছে উচ্চ পরিমানে ভিটামিন সি, সেই সঙ্গে ফাইবার। রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টরল কমাতে আম কার্যকরী।

* ত্বকের যত্ন নিতেও আম বেশ উপকারী। ভিতর ও বাইরে থেকে ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের রোমের গোড়া পরিষ্কার রাখে আম।

* আম চোখের জন্যও উপকারী। মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দেয় আম। ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে।

* আমে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড। এগুলো শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে।

 

* আমে রয়েছে এনজাইম, যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

* এছাড়াও আমে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস রয়েছে, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ ও সবল রাখবে।

আম অনেক উপকারী। কিন্তু বেশি খাওয়া কি ভাল?

কোনো ফলই মাত্রারিক্ত খাওয়া ভালো নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে আম খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। 

চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন অল্প আম খাওয়া যেমন উপকারী তেমনই এক সঙ্গে অনেক আম খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে। বুঝে শুনেই স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। না হলে ভালোর থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। আম অনেক সময়ে হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। বেশি আম খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে- এটা তো সবারই জানা।