বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেই চাঁদের কণাকে চাকরির আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:১৯ এএম, ৩০ জুন ২০১৯ রোববার

চাকরির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চারদিন ধরে অনশন করেছেন চাঁদের কণা নামের একজন প্রতিবন্ধী মেয়ে। তিনি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত বিয়াড়া গ্রাম থেকে এসে এ অনশন করেন।

শনিবার বিকেলে অনশন চলার সময় নিজ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাস্টাস দেন চাঁদের কণা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের কথা তুলে ধরেন তিনি। 

‘অবশেষে আমার কষ্ট ও সবার ভালোবাসার হলো জয়...
আমি কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার কাছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আশ্বস্ত করেছেন, যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজসেবা অধিদফতরে আমার চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম রনি’র মাধ্যমে আমাকে বিষয়টি অবগত করেন। 

 

এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে মোবাইলে আমার সাথে (প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া) কথা বলে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। আমি আরো কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রতি। যারা আমাকে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আজ আমি অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। 

 

 

তবে একটা কথা আবারো বলছি, আমি শুধু চাকরির জন্য অনশনে বসিনি। একই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা আর তার একটু ভালবাসা পাবার জন্য এসেছিলাম। আশা করছি আমার চাকরির নিয়োগ পত্র সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মা তার নিজ হাতে আমাকে তুলে দেবেন। আর আমার মাথায় হাত রেখে আমার মা আমার জন্য দোয়া করবেন, এটাই এখন আমার একমাত্র প্রত্যাশা। সবাই ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিন।’

 

এই তিন দিনে টেলিভিশন এবং পত্রিকায় চাঁদের কণাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তার দীর্ঘ ৩০ বছরের পালিত স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে শুনে আবেগে কান্না জড়িত কণ্ঠে  চাঁদের কণা বলেন, ভাই আমার চাকরি হয়েছে। আপনি নিউজ করার পর আমাকে রাতেই বলেছিলেন তোমার একটা ব্যবস্থা হবেই বোন। তখন আমি ভেবেছিলাম আপনি আমাকে শান্তনা দিচ্ছেন কিন্তু এখন দেখি সত্যি সত্যিই আল্লাহ আমাকে একটা চাকরি দিয়েছে। আমি আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। কিছু বলার ভাষা নেই আমার জন্য দোয়া করবেন।