বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্মত ট্রাম্প ও শি জিনপিং

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ৩০ জুন ২০১৯ রোববার

বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে পুনরায় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। 

জাপানের ওসাকা শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশ সমূহের সম্মেলন জি-২০’তে শনিবার ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দু’দেশের মধ্যে ফের বাণিজ্যিক আলোচনা শুরু করতে সম্মত হন বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, আলোচনার পথ খোলা রাখতে তিনি চীনা টেলিকম ও মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন এবং হুয়াওয়ের কাছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান সমূহের পণ্য বিক্রি চালু পুনরায় চালু করতে অনুমতি প্রদান করবেন। 

 

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটন চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে নতুন করে আর কোনো শুল্কও বসাবে না।

প্রায় বছরখানেক ধরে চলা এ বিবাদে বেইজিং ও ওয়াশিংটন একে অপরের শতকোটি ডলারের রপ্তানি পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিল।
“আমরা আবার আগের পথে ফিরে এসেছি, দেখা যাক কী হয়,” শি-র সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৮০ মিনিটের বৈঠককে ‘অসাধারণ’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।

পরে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক দীর্ঘ বিবৃতিতে বৈঠক সম্পর্কে জানায়।

বৈঠকে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র আর নতুন শুল্ক বসাবে না- এমন সিদ্ধান্তের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যস্থতাকারীরা এখন থেকে সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলেও জানানো হয়।

 

যুক্তরাষ্ট্র যেন চীনা কোম্পানিগুলোকে ন্যায্যভাবে মূল্যায়ন করে- সেজন্য শি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নে চীন নিজের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখবে, বলেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প এর আগে শি’র সঙ্গে তার বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে চীনের আরও পণ্যে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে বৈঠকের আগে তার কণ্ঠে ছিল আশাবাদের সুর।

“আমার ধারণা, আমরা খুব কাছাকাছি এসেছিলাম, তারপর কিছু একটা হলো- আমরা একটু পিছিয়ে গেলাম; এখন আমরা আবার কাছাকাছি,” বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বেইজিংয়ের সঙ্গে ন্যায্য যে কোনো বাণিজ্য চুক্তিই ‘ঐতিহাসিক’ হবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
“আমার বিশ্বাস এ বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসু হবে; এবং আমরা এমন কিছু করবো যা সত্যিকার অর্থেই চিরভাস্বর হবে,” বলেছিলেন ট্রাম্প।