পানিশূন্যতার কারণ ও সমাধান
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
ডি হাইড্রেশন নামটি সকলেরই অতিপরিচিত। ডি হাইড্রেশন মানেই হলো পানি শূন্যতা ও শরীরের পানি কমে যাওয়া। এর জন্য অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এ ডি হাইড্রেশন হয় বেশ কিছু খাবারের জন্য। আবার বেশ কিছু খাবার দিয়ে এ ডি হাইড্রেশন বন্ধও করা যায়। কোন কোন খাবার খেলে পানি শূন্যতা হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নিন-
প্রোটিন শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। কিন্তু সেটা যদি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হয় তবে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না যা হাই প্রোটিনযুক্ত। খাবার খাওয়ার সময় কার্বো হাইড্রেট ও প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখতে হবে। ঘন প্রোটিনযুক্ত ড্রিংকস খাওয়া ঠিক নয়।
অতিরিক্ত ভাজা খাবার খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকারক। তেমনি ভাজা পোড়া অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে পানি শূন্যতাও দেখা দিতে পারে। তাই ফ্রাই বা ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত।
আমরা অনেক সময় ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করে থাকি। এজন্য অনেকেই কার্বো হাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেয়ে থাকেন। কার্বো হাইড্রেট কম খাওয়া ডি হাইড্রেডের কারণ হতে পারে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের পানি বেশি খেতে হবে।
পানি শূন্যতার আরেকটি কারণ হলো এনার্জি ড্রিংক। যারা জিম করেন বা খেলাধূলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তারা শক্তি বাড়ানোর জন্য এনার্জি ড্রিংক খেয়ে থাকেন। এ কারণে অনেক সময় পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। কারণ এনার্জি ড্রিংকগুলো আমাদের শরীরের পানির পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দেয়। সে কারণে এগুলো যতটা সম্ভব না খাওয়াই ভালো। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।
লেবুর রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এ কথা সত্য। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় লেবুর রস খান তবে প্রসাব অতিরিক্ত মাত্রায় হবে। যা পানি শূন্যতার একটি কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় লেবুর রস খাওয়া যাবে না। তবে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ লবণে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। লবণ শরীরের পানি শোষণ করে আর সেটাকে ধরে রাখে ফলে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
শীতকালে কফি খেতেই হবে। অবশ্যই খাবেন। কিন্তু কফি হলো মুত্রবর্ধক। সেই সঙ্গে কফি পানি শূন্যতা ও মাথা ব্যথার একটি কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় কফি খাওয়া কোনো ভাবেই ঠিক নয়। তবেই পানি শূন্যতা দেখা দিবে। কারণ কফি খেলে প্রসাব অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাবে। তাই দুই থেকে তিন কাপের বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিদিন কফি খাওয়ার পরিমাণ ১১০ মিলিগ্রামের মধ্যে রাখতে হবে।