শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চিনি ছাড়াও যেসব খাবারে সুগার বাড়ে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

ব্লাড সুগারের রোগীদের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। সে কারণে চিনি ও শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। আর খেলেও পরিমাণে কম খেতে হয়।

মিষ্টি খাওয়া যায় না। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত মাত্রায় ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সুগার কমে যায়। এটাও ক্ষতিকারক। শুধু চিনি বা মিষ্টি খেলেই যে সুগার বাড়ে তা কিন্তু নয় বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে সুগার বাড়তে পারে। সে ধরণের খাবারগুলো কী কী? সেসব সম্পর্কে জেনে নিন-

কফি ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে বা কমিয়ে থাকে, এটা একটা গবেষণা থেকে জানা গেছে। কিন্তু কফির সঙ্গে সুইট বা কোনো ধরণের ফ্লেভার মিশিয়ে খেলে সেটা ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে। শুধু তাই নয়, উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন সুগার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় কফি খাওয়া কখনোই উচিত নয়।

 

অনেক সময় আমরা চর্বি কমাতে বা ওজন কমাতে ওটস খেয়ে থাকি। ওটস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কারণ ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা আমাদের পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে। ওটস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ওটস মিলের প্রচুর ভূমিকা রয়েছে। ওটস মিল্ক আপনি খেতেই পারেন। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে বানানো বা প্রক্রিয়াজাতকরণ ওটসে ফ্লেভার ও চিনি থাকে। তাই এগুলো খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে। তাই ওটস খেতে পারেন কিন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণ ওটস কিছুতেই খাওয়া যাবে না।

অনেকেই ডায়বেটিস রোগীদের লাল চালের ভাত খেতে বলে থাকে। সে জন্য ডায়বেটিসের রোগীরা সাদা চালের বদলে লাল চাল খেয়ে থাকেন। লাল চাল খেলে সুগার কম পরিমাণে বাড়ে। তবে লাল চাল খাওয়ারও একটা পরিমাণ রয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় লাল চাল খেলে তাও সাদা চালের মতো একই কাজ করবে। অর্থাৎ সুগার বেড়ে যেতে পারে। প্রচুর পরিমাণে লাল চাল খাওয়া যাবে না। আধা কাপ ভাতের সঙ্গে সবজি বা ডাল খেতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় লাল চালের ভাত খাওয়া যাবে না।

অনেকেরই মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে। ডায়বেটিসের রোগীদের কী কোনো ইচ্ছে থাকতে পারে না? অবশ্যই ইচ্ছা থাকতে পারে। তবে এ জন্য চাইনিজ ফুড খাওয়া ঠিক নয়। চাইনিজ খাবারে বেশি মাত্রায় লবণ, তেল ও চিনি থাকে। তাই চাইনিজ জাতীয় খাবার খেলে সুগার বেড়ে যেতে পারে।

 

উচ্চ মাত্রায় চর্বিযুক্ত গোশত অর্থাৎ রেড মিট অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবে না। তবে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। চর্বিযুক্ত যেকোনো খাবার খেলেই সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই রেড মিট মেপে খেতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবে না। সব থেকে ভালো না খাওয়া।

দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় যেকোনো খাবার যেমন: পনির, দই ও লাচ্ছি খাওয়া যাবে না। কারণ এসব খাবারে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম থাকে সেই সঙ্গে ফ্যাটও বেশি পরিমাণে থাকে। আর দুধ খেলেও চিনি ছাড়া লো ফ্যাটযুক্ত দুধ খেতে পারেন। তবে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর দইও চিনি ছাড়া শুধু টক দই পরিমাণ মতো খেতে পারেন। নাহলে সুগার বৃদ্ধি পেতে পারে।