ধূমপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ফাস্টফুড!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা, যৌন ক্ষমতা হ্রাসসহ ধূমপানের নানা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এক গবেষণা বলছে, এরচেয়েও ক্ষতিকর ফাস্টফুড।
বিশ্বের ১৯৫ টা দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালায় ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ মেট্রিক্স অ্যাণ্ড ইভ্যালুয়েশন। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধূমপানের তুলনায় ফাস্টফুডের ক্ষতি অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে আজকাল। এমনকি তাতে মৃত্যুর হারও বেশি।
এসব খাবারের গ্রাহকের বড় একটি অংশই তরুণ-তরুণীরা। ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে শরীরেও দেখা দেয় হরমোনের তারতম্য। এতে করে তারা অবসাদ, মানসিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা, আত্মহত্যায় আক্রান্ত হয় বেশি। স্বাস্থ্যকর খাবার কিন্তু এ হরমোনের খেলায় বাধা দেয়। কিন্তু জাঙ্কফুডের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার এ কাজটি করতে পারে না। ফলে তারা ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয় মানসিক ব্যাধিতে।
অনেকেরই বার বার পেট খারাপ হয়। কী জন্য এ সমস্যা বাড়ছে, ভেবেছেন একবারও? ফাস্টফুডই কিন্তু হতে পারে মূল কারণ। ফাইবার কম থাকে এসব খাবারে। এতে দেখা দেয় হজমে অশান্তি। ঝাল-তেল বেশি থাকে বলে হতে পারে আলসার, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, বদহজম।
ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ মেট্রিক্স অ্যাণ্ড ইভ্যালুয়েশন বলছে, সাম্প্রতিক কালে শুধু ফাস্টফুড খেয়েই ১১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট সময়কালের কথা অবশ্য বলা হয়নি প্রতিবেদনে। গবেষণা অনুসারে, এগুলোর মধ্যে কোনো পুষ্টিগুণ তো থাকেই না, বরং এসব এতই ক্ষতিকর যে যথেষ্ট পরিমাণে ধূমপান করলে যে হারে মৃত্যু হয়, ফাস্টফুড খেয়ে মৃত্যু হার তার তুলনাতেও বেশি। কাজেই মানুষ চাইলেই এসব খাবার না খেয়ে, নিজের মৃত্যু দূরে রাখতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাস্টফুডে রিফাইন সুগার বেশি পরিমাণে থাকে। তাই এ খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন রক্তে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলে। বেশি কমে গেলে অস্থিরতা লাগে। তীব্র ক্ষুধা লাগে। আবার খেতে ইচ্ছা করে, খেতে হয় খাবার। বেশি খেতে খেতে দেখা দেয় স্থূলতা। আবার ইনসুলিনের এমন তারতম্যের কারণে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যেতে থাকে বিনিময়ে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস। তাছাড়া এসব খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।