পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী-সন্তানসহ ৯ জনকে হত্যা, শ্বশুরবাড়িতে আগুন!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:০১ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
স্ত্রী পরকীয়া করছেন বলে সন্দেহ স্বামীর। সেই সন্দেহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রী, দুই সন্তান, তিন শ্যালিকা ও তাদের দুই সন্তান এবং শাশুড়ি সহ মোট নয়জনকে হত্যা করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান শহরে। মোহাম্মদ আজমল নামক এক ব্যক্তি সোমবার নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞ চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ আজমল ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আজমলের এক ভাইকেও খুঁজছে পুলিশ।
মুলতানের জেলা পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান মেহমুদ বলেন, “আজমল তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। পরিষ্কারভাবেই এটা ‘অনার কিলিং’। আজমল তার স্ত্রী কিরণের সঙ্গে এক ব্যক্তির ছবি দেখে ধরে নেয় তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক চলছে। তিনি তার কাজের জন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন।”
পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সৌদি আরবে দর্জির কাজ করা আজমল মাত্র ২৫ দিন আগে দেশে ফেরেন। সোমবার তার বাবা ও এক ভাইকে নিয়ে শশুর বাড়িতে হাজির হন তিন। সেখানে স্ত্রী সহ শশুর বাড়ির অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া-বিবাদ হয় তাদের। এ সময়ে নিজেদের কাছে লুকিয়ে রাখা বন্দুক দিয়ে নিজের স্ত্রী-সন্তান সহ সকলের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন আজমল।
কিরণের ভাই আলি রাজা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আজমল ও কিরণের মধ্যে কয়েক বছর ধরে ঝামেলা চলছিল। যে কারণে কিরণ সম্প্রতি দুই সন্তান নিয়ে পাকিস্তান ফিরে আসে এবং বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। “আমি আমার বাবার সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি আমার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলা হয়েছে।”
পাকিস্তানে ‘অনার কিলিং’ এর ঘটনা নিয়মিত ঘটে। পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে পরিবারের সদস্যরাই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়। বেশিরভাগ সময় নারীদেরই এর বলি হতে হয়।
দেশটিতে ২০১৬ সালে অনার কিলিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হলেও হত্যা থামানো যাচ্ছে না। দেশটিতে আগে পরিবারের সদস্যরা ক্ষমা করে দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া পেয়ে যেত। আইন সংস্কার করে ওই পথ বন্ধ করা হয়েছে।